School Teacher Missing : দুর্নীতি নিয়ে ফেসবুক পোস্টের পরেই খোঁজ মিলছে না শিক্ষকের, স্কুলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের

School Teacher Missing : ঘটনা প্রসঙ্গে কৌশিকবাবুর স্ত্রী শকন্তলা রায়ের দাবি স্কুলটা তাঁদের হলেও কারসাজি করে সব নিজের নামে করার চেষ্টা করছেন স্কুলের আর এক শিক্ষক প্রবীরকান্তি রায়। যা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন নিখোঁজ শিক্ষক কৌশিক রায়।

School Teacher Missing : দুর্নীতি নিয়ে ফেসবুক পোস্টের পরেই খোঁজ মিলছে না শিক্ষকের, স্কুলে বিক্ষোভ পড়ুয়াদের
ব্যাপক উত্তেজনা স্কুলে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 10:47 PM

কাঁচারাপাড়া : খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না স্কুলের শিক্ষকের (School Teacher)। অভিযোগ, তাঁর নিখোঁজ হওয়ার পিছনে হাত রয়েছে আর এক শিক্ষকের। নিখোঁজ শিক্ষককে ফিরিয়ে আনার দাবিতে আন্দোলনে সামিল পড়ুয়ারা। স্কুল চত্বরে চলল স্লোগান। এলেন অভিভাভাবকরাও। ব্যাপক উত্তেজনা কাঁচরাপাড়ায়। এখানেই জৌনপুর এলাকায় রয়েছে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল শিক্ষার্থ। এইস্কুলের শিক্ষক কৌশিক রায় নিখোঁজ বিগত দুদিন ধরে। ইতিমধ্যেই  পুলিশে নিখোঁজ ডায়রি করেছে পরিবার। অভিযোগ করা হয়েছে স্কুলের আর এক শিক্ষক প্রবীরকান্তি রায়ের বিরুদ্ধে। সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন আগে কৌশিকবাবু স্কুলের দুর্নীতি নিয়ে একটি ফেসবুক পোস্ট করেন স্কুলের শিক্ষক ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রবীর কান্তি রায়ের বিরুদ্ধে। এরপর এলাকায় অভিভাবকরা ওই শিক্ষককে মুক্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে আসে জেঠিয়া থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে অভিভাবকদের ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায়। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়।

ঘটনা প্রসঙ্গে কৌশিকবাবুর স্ত্রী শকন্তলা রায়ের দাবি স্কুলটা তাঁদের হলেও কারসাজি করে সব নিজের নামে করার চেষ্টা করছেন স্কুলের আর এক শিক্ষক প্রবীরকান্তি রায়। সে কারণেই কৌশিকবাবু মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, “ও এই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৭ সালে স্কুলটা তৈরি হয়। তারপর থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আমরা স্কুলটা চালিয়ে এসেছি। ২০২০ সালে করোনার সময় প্রবীরকান্তি রায় বলে একজন স্কুলে যোগ দেন। উনি আমাদের পারিবারিক বন্ধু। ঠিক হয়, প্রবীরবাবুর সঙ্গে কৌশকের ৬০ : ৪০ অনুপাতে শেয়ার ভাগ হবে। কৌশিক যেহেতু প্রতিষ্ঠাতা তাই ও বেশি পাবে এটাই ঠিক হয়। এ সিদ্ধান্তে আমরা রাজি হয়। স্কুলে আসা শুরু করতেই স্কুলের অ্যাকাউন্টও ম্যানেজ করতে শুরু করেন। কৌশিককে ভুল বুঝিয়ে স্কুলের জমি ওর নিজের নামে লিখিয়ে নেন ব্যাঙ্ক লোনের জন্য। আমরা তখনও কিছু জানতাম না। এরপর আস্তে আস্তে গোটা স্কুলেরই দখল নিয়ে নেয় ও। বাকি শিক্ষকদেরও হাত করতে শুরু করেন। এ সব জানার পর থেকেই কৌশিক মনকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। রবিবার পড়াতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর আর দেখা পাওয়া যায়নি।” শকন্তলা দেবীও পড়ান এই স্কুলেই। 

প্রবীরকান্তি রায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন স্কুলের প্রাক্তন থেকে বর্তমান পড়ুয়ারা। স্কুলের এক প্রাক্তনী বলেন, “ওই প্রবীরবাবুই কৌশিক স্যারকে দীর্ঘদিন থেকে মানসির নির্যাতন করেছেন।আমরা চাই কৌশিক স্যারকে ফিরিয়ে আনা হোক। স্কুলের প্রিন্সিপাল করা হোক।” এক বর্তমান ছাত্রী বলেন, “কৌশিক স্যারকে দুদিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এটা ফেসবুক থেকে জানতে পেরেছি। আমরা স্যারকে ফেরত চাই।” এদিকে অভিযোগ জমা পড়তেই ইতিমধ্যেই প্রবীরবাবুকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।