SIR Hearing: বয়স ৮৫ হয়নি! অ্যাম্বুলেন্সে চেপে SIR শুনানিতে আসতে হল অসুস্থ বৃদ্ধকে
SIR in Bengal: তবে শুধু বারাসত নয়, অনেক অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে শুনানি কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। এই যেমন দাসপুর এক নম্বর ব্লকের মামুদপুরের ৬১ বছরের গায়ত্রী দাস। প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। এই অবস্থাতেই টোটোয় চেপে চলে আসেন বিডিও অফিসে।

বারাসত: ২০০২ সালের লিস্টে নাম নেই। অ্যাম্বুলেন্সে করে এসআইআর-এর শুনানিতে আসতে হল অসুস্থ বৃদ্ধকে। বারাসাতের বরিশাল কলোনির ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুনীল বারুই। দীর্ঘদিন থেকেই তিনি শয্যাশায়ী। পরিবারের দাবি, বাড়িতে হিয়ারিংয়ের জন্য তাঁরা নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু, কিন্তু তাঁর বয়স ৮৫-র বেশি না হওয়ার কারণে বাড়িতে শুনানির আবেদন নাকচ করে দেয় কমিশন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে আসতে হয় শুনানি কেন্দ্রে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে চাপানউতোর।
তৃণমূল ফের সুর চড়াচ্ছে কমিশনের বিরুদ্ধে। কমিশনের জন্যই মানুষের এত হয়রানি, বলছেন শাসকদলের নেতারা। যদিও শুনানি কেন্দ্রে যাওয়ার পর কমিশন খুব দ্রুত তাঁর শুনানির কাজ শেষ করে তাঁকে ছেড়ে দেয়। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা বারাসাতের প্রাক্তন চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় গোটা ঘটনায় রীতিমতো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, গোটা বিষয়টি দুঃখজনক। এই প্রক্রিয়া বাড়িতে করে নিতে পারলে এই ধরনের মানুষগুলি খুবই উপকৃত হতেন। আসলে গোটা বিষয়টি প্রহসনের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
তবে শুধু বারাসত নয়, অনেক অসুস্থ রোগী, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে শুনানি কেন্দ্রে আসতে দেখা যায়। এই যেমন দাসপুর এক নম্বর ব্লকের মামুদপুরের ৬১ বছরের গায়ত্রী দাস। প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। এই অবস্থাতেই টোটোয় চেপে চলে আসেন বিডিও অফিসে। তাঁরও শুনানি হল। অন্যদিকে একাধিক অসুস্থ ব্যক্তিকে শুনানিতে হাজিরা দিতে দেখা হল তারকেশ্বরের ব্লক অফিসে। ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারকেশ্বর বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়। ক্ষোভের সঙ্গেই তিনি বলেন, “কমিশন মুখে নির্দেশ দিচ্ছে। লিখিত কোনও কোনও নির্দেশ নেই। তাই কালকের মতো আজও বহু বয়স্ক, অসুস্থ ব্যক্তিদের শুনানিতে আসতে হয়েছে।”
