ব্যারাকপুর: প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হল কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে (Kaustav Bagchi)। শনিবার ভোরেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার কারণেই এভাবে তাঁর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে আমাকে এতটা ভয় পাবেন, আমি ভাবিনি। এটা তো আমার নৈতিক জয়।’ আইনের পথেই আগামিদিনে রাজ্য প্রশাসের বিরুদ্ধে লড়বেন বলে জানিয়েছেন কৌস্তভ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে করা মন্তব্যের কারণে রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সে কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার জেরে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে নামবে বলে জানিয়েছে যুব কংগ্রেস। এদিন সকালে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান যুব কংগ্রেসের কর্মীরা।
শনিবার রাত ৩ টে নাগাদ তাঁর বাড়িতে হাজির হয় বটতলা থানার পুলিশের একটি টিম। সকাল ৮ টা নাগাদ গ্রেফতার করে বটতলায় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিন পুলিশের গাড়িতে কৌস্তভকে তোলার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীদের।
তল্লাশি চলাকালীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন কৌস্তভ। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রাত ৩ টেয় এমনভাবে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়েছে, যেন আমি কোনও সন্ত্রাসবাদী, কোনও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। তবে পুলিশও নিরুপায়। ওদের কিছু করার নেই। নেত্রী যে এভাবে আমাকে ভয় পাবেন, আমি ভাবিনি।’ আইনজীবী আরও বলেন, ‘আজ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই শুরু হল। লড়াই হবে আইনি পথেও। আমার নাম কৌস্তভ বাগচী, আমিও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নই।’ ‘রাতের ঘুম উড়িয়ে দেব’, বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সাগরদিঘি নির্বাচনের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কৌস্তভ। শনিবার সকালেই কৌস্তভের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অধীর। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। যুব কংগ্রেসের সদস্যরাও এদিন পৌঁছে যান কৌস্তভের বাড়িতে। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে হবে প্রতিবাদ। থানায় থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কংগ্রেস।
আইনজীবীকে এভাবে গ্রেফতার করায় হতবাক আইনজীবী মহল। কৌস্তভের প্রতিবেশীরাও বুঝতে পারছেন না কেন এমনটা করা হল। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করেছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রশাসন যেটা মনে করেছে, সেটা সমোয়চিত ও সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করি।’
ব্যারাকপুর: প্রায় ৫ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ ও তল্লাশির পর গ্রেফতার করা হল কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে (Kaustav Bagchi)। শনিবার ভোরেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যায় কলকাতা পুলিশ। সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মন্তব্য করার কারণেই এভাবে তাঁর বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে দাবি আইনজীবীর। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে আমাকে এতটা ভয় পাবেন, আমি ভাবিনি। এটা তো আমার নৈতিক জয়।’ আইনের পথেই আগামিদিনে রাজ্য প্রশাসের বিরুদ্ধে লড়বেন বলে জানিয়েছেন কৌস্তভ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর সাংবাদিক বৈঠকে করা মন্তব্যের কারণে রাজ্যে শান্তি বিঘ্নিত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। সে কারণেই গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার জেরে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদে নামবে বলে জানিয়েছে যুব কংগ্রেস। এদিন সকালে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে যান যুব কংগ্রেসের কর্মীরা।
শনিবার রাত ৩ টে নাগাদ তাঁর বাড়িতে হাজির হয় বটতলা থানার পুলিশের একটি টিম। সকাল ৮ টা নাগাদ গ্রেফতার করে বটতলায় থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁকে। এদিন পুলিশের গাড়িতে কৌস্তভকে তোলার সময় পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দেখা যায় উপস্থিত কংগ্রেস কর্মীদের।
তল্লাশি চলাকালীন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন কৌস্তভ। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলাতেই তাঁকে এভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘রাত ৩ টেয় এমনভাবে পুলিশ এসে উপস্থিত হয়েছে, যেন আমি কোনও সন্ত্রাসবাদী, কোনও বিস্ফোরণ ঘটিয়েছি। তবে পুলিশও নিরুপায়। ওদের কিছু করার নেই। নেত্রী যে এভাবে আমাকে ভয় পাবেন, আমি ভাবিনি।’ আইনজীবী আরও বলেন, ‘আজ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক লড়াই শুরু হল। লড়াই হবে আইনি পথেও। আমার নাম কৌস্তভ বাগচী, আমিও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নই।’ ‘রাতের ঘুম উড়িয়ে দেব’, বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
সাগরদিঘি নির্বাচনের পর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে মুখ্যমন্ত্রী আক্রমণ করেছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। তারই প্রতিবাদ করেছিলেন বলে জানিয়েছেন কৌস্তভ। শনিবার সকালেই কৌস্তভের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন অধীর। পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি। যুব কংগ্রেসের সদস্যরাও এদিন পৌঁছে যান কৌস্তভের বাড়িতে। তাঁরা জানিয়েছেন, রাজ্য জুড়ে হবে প্রতিবাদ। থানায় থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে কংগ্রেস।
আইনজীবীকে এভাবে গ্রেফতার করায় হতবাক আইনজীবী মহল। কৌস্তভের প্রতিবেশীরাও বুঝতে পারছেন না কেন এমনটা করা হল। এই গ্রেফতারি প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীকে যেভাবে ব্যক্তিগত স্তরে আক্রমণ করেছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রশাসন যেটা মনে করেছে, সেটা সমোয়চিত ও সঠিক পদক্ষেপ বলে মনে করি।’