বসিরহাট: বাড়িতে স্বামী থাকেন না। কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন তিনি। বাড়িতে একাই থাকেন গৃহবধূ। নিত্যদিনের মতো খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর আর ঘুম ভাঙেনি। সকালে যখন উঠলেন তখন চক্ষুচড়ক গাছ হওয়ার জোগাড়। ঘরের চারিদিকে তাকিয়ে দেখেন কার্যত সব ফাঁকা। লন্ডভন্ড হয়ে রয়েছে সমস্ত কিছু। তবে সন্দেহ করেন বাড়িতে চুরি হওয়ার পরও কেন তাঁর ঘুম ভাঙল না? তাহলে কি ক্লোরোফর্ম ছড়িয়েই দুষ্কৃতীরা লুটপাঠ চালালো? এখন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে তাঁৎ মাথায়।
বসিরহাটের সন্দেশখালি থানার খুলনা গ্রামপঞ্চায়েতের দাসপাড়ার ঘটনা। অভিযোগ,দুষ্কৃতীরা ঘরের দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তারপর বাক্স ও আলমারির তালা খুলে নগদ কুড়ি হাজার টাকা ও সোনার গহনা সহ লক্ষাধিক টাকার জিনিস নিয়ে চম্পট দেয়। বাড়ির মালিক নিখিল দাস কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। সকাল হতেই তাঁর স্ত্রী কমলা দাশ হতবাক। ঘুম থেকে উঠেই তিনি দেখেন ঘরের একাধিক জায়গায় লণ্ডভণ্ড অবস্থায় হয়ে রয়েছে।
গৃহকর্তী কমলা দাস বলেন, “ঘুম থেকে উঠে দেখি বাক্স খোলা। কিছুই নেই। যেটুকু যা সোনা-গহনা ছিল সবটুকু নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। বাচ্চা দু’টোকে নিয়ে শুয়েছিলাম। কিছুই এখন দেখতে পাচ্ছি না। আমার মতো গরিব মানুষের যারা এত বড় ক্ষতি করল তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।” স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “আমার মেজদার বাড়ি সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। সোনার জিনিস তো চুরি হয়েছে একই সঙ্গে বাচ্চাদের রুপোর জিনিসটুকুও ছাড়েনি।”