উত্তর ২৪ পরগনা: গত বছরের একটা ছবি। জয়ন্ত সিংয়ের ক্লাবের ফেসবুক পেজেই রয়েছে সেই ছবি। তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবের একটি অনুষ্ঠান। সে অনুষ্ঠানের মঞ্চে উপস্থিত বিধায়ক মদন মিত্রের ছেলে, সাংসদ সৌগত রায়, তৎকালীন বেলঘরিয়া থানার আইসি-সহ হেভিওয়েটরা। সেই জয়ন্ত সিং, আড়িয়াদহে মা ছেলেকে পেটানোর মূল অভিযুক্ত। সে খবর শিরোনামে আসতেই জয়ন্ত সিংয়ের একের পর এক কুকর্ম সামনে আসতে শুরু করেছে। ভিডিয়ো পোস্ট করেছে বিজেপি। জয়ন্ত সিং শিরোনামে আসতেই তাঁর রাজনৈতিক ছত্রছায়া নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বিধায়ক-সাংসদের মধ্যেও হয়েছে দড়ি টানাটানি। একটা সময়ে ভিডিয়োতে যাঁদেরকে পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে, তাঁরা প্রত্যেকেই বলছেন, ‘চিনি না।’
মদন মিত্র বলছেন, ‘জয়ন্তর পিছনে নাকি ঠিকাদার রয়েছে।’ ‘পলিটিক্যাল লিডাররা কেন পাশ থেকে সরে যাচ্ছে?’ জয়ন্ত সিংকে বুধবার যখন আদালতে পেশ করা হচ্ছিল, প্রশ্নটা করা হয়েছিল তাঁকে। তিনি পাল্টা প্রশ্ন করলেন, ‘কে সরে যাচ্ছে?’ কুণাল ঘোষ ইতিমধ্যেই জয়ন্ত সিংয়ের উদ্দেশে বলেছিলেন পিঠের ‘চামড়া গুটিয়ে নেব’। সে বিষয়েও প্রশ্ন করা হয় জয়ন্ত সিংকে। তিনি বললেন, “কিচ্ছু দেখিনি, কিচ্ছু জানি না।” তারপর তিনি বলেন, “যাঁরা জানেন, তাঁদের জিজ্ঞাসা করুন।”
দৃশ্যত এত কিছুর পরও জয়ন্চ সিংকে দেখা গিয়েছে নিরুত্তাপ। জয়ন্ত সিং কাদের দিকে ইঙ্গিত করলেন, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। যদিও মদন মিত্রের বক্তব্য, ‘জয়ন্ত সিংয়ের পিছনে নাকি ঠিকাদার রয়েছে।’ কে সেই ঠিকাদার, তা খোঁজার দায়িত্ব পুলিশেরই, বলেছেন মদন।