Amarnath Disaster : ‘শুধু জল পান করে কেটেছে সাত দিন’, অমরনাথ থেকে উদ্বিগ্ন পরিবারকে ফোন বসিরহাটের সমরেশের
Amarnath Disaster : বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার মিনাখাঁ পঞ্চায়েতের মালঞ্চ বাজারে বাড়ি সমরেশের। বছর বিয়াল্লিশের সমরেশ গত ২৬ জুন অমরনাথ যাত্রায় যান।
বসিরহাটের মিনাখাঁ থানার মিনাখাঁ পঞ্চায়েতের মালঞ্চ বাজারে বাড়ি সমরেশের। বছর বিয়াল্লিশের সমরেশ গত ২৬ জুন অমরনাথ যাত্রায় যান। প্রথম কয়েকদিন বাড়ির সঙ্গে নিয়মিত কথা হত। গত ৬ জুলাই সমরেশের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল তাঁর স্ত্রী মহুয়া হালদারের। এরপর আর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
গত শুক্রবার (৮ জুলাই) মেঘ ভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে জম্মু ও কাশ্মীরের অমরনাথ। মৃত্যু হয় ১৬ জনের। বিপর্যস্ত এলাকায় আটকে পড়া পুণ্যার্থীদের উদ্ধারে নামে সেনা, সিআরপিএফ, আইটিবিপি জওয়ানরা। ছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং পুলিশ। এখনও পর্যন্ত আটকে পড়া ১৫ হাজার পুণ্যার্থীকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ প্রায় ৪০ জন।
টিভিতে অমরনাথের বিপর্যয়ের খবর দেখে দুশ্চিন্তায় পড়ে হালদার পরিবার। সমরেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে কপালে চিন্তার ফাঁজ পড়ে। মহুয়া হালদার বলেন, একাধিকবার রাজ্য ও কেন্দ্রের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করেছেন তাঁরা। কিন্তু, তাঁর স্বামীর সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কেউ কোনও তথ্য জানাতে পারেনি।
আজ সকালে মহুয়ার মোবাইলে ভিডিয়ো কল আসে। কাঁপা কাঁপা হাতে ফোনটা ধরেন তিনি। আর ফোনটা ধরতেই চোখে খুশির জল নেমে এল। ফোনে ফেসে উঠল স্বামীর ছবি। মহুয়াকে সমরেশ বলেন, তিনি ভাল আছেন। তাঁর এই কোথা শুনে দুশ্চিন্তামুক্ত হল পরিবার।
সাত দিন কীভাবে কেটেছে, পরিবারকে সেকথাও জানিয়েছেন সমরেশ। অমরনাথের শেষনাগ গুহায় আটকে ছিলেন এই সাত দিন। সঙ্গে থাকা পানীয় জল খেয়েই কেটেছে। মৃত্যুভয় তাড়া করেছে। তবে মনোবল হারাননি। শেষ পর্যন্ত গতকাল সন্ধ্যায় তাঁকে উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দল। কয়েকদিনের মধ্যেই বাড়ি ফিরে আসবেন বলে পরিবারকে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর ঘরের ফেরার প্রতীক্ষায় দিন গুনছে স্ত্রী-পুত্র এবং পরিবারের বাকিরা।