North 24 Parganas: দশম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আত্মহত্যার চেষ্টা নির্যাতিতার, গ্রেফতার অভিযুক্ত
North 24 Parganas: শনিবার নির্যাতিতা বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। রাতে গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও বিজেপি কর্মীরা মেয়েটির পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গাইঘাটা থানায় যান। এবং মেয়েটির পরিবার থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে।
উত্তর ২৪ পরগনা: টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় দশম শ্রেণির ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। অপমানে আত্মহত্যা চেষ্টা নির্যাতিতার। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্তকে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটা থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে হাত বেঁধে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। অভিযোগ ওঠে তারই প্রতিবেশী এক যুবকের বিরুদ্ধে। বাড়িতে ফিরেও বিষয়টি প্রথমে নির্যাতিতা কাউকে জানায়নি। শনিবার নির্যাতিতা বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে দেখে ফেলে। চেপে ধরতে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। বাবা-মাকে সব কথা খুলে বলে। শনিবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে গাইঘাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবক এক-দেড় বছর ধরে মেয়েটিকে বিভিন্ন ভাবে উত্ত্যক্ত করত। যা নিয়ে কয়েক মাস আগে এলাকায় সালিশি সভা হয়েছিল। তখন অভিযুক্ত যুবক ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছিল। পরিবারে দাবি, সন্ধ্যায় মেয়েটি টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় ওই যুবক তাকে রাস্তা থেকে হাত বেঁধে ভয় দেখিয়ে তুলে নিয়ে যায় একটি জঙ্গলে। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়। কাউকে কিছু দেখলে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
শনিবার নির্যাতিতা বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। রাতে গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর ও বিজেপি কর্মীরা মেয়েটির পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে গাইঘাটা থানায় যান। এবং মেয়েটির পরিবার থানায় ধর্ষণের অভিযোগ করে।
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ছেলেটি পরিবার তৃণমূল করে। তাঁর পিসি তৃণমূলের নেত্রী। তাঁদের নাম করে ভয় দেখাতেন ওই যুবক। যদিও অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, “ঘটনার খবর শুনে আমি থানায় এসেছে। পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা হয়েছে। কোন রঙ না দেখে অভিযুক্তকে শাস্তি দিতে হবে।”
তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “তৃণমূলের পক্ষ থেকে পরিবারকে কোনরকম ভয় দেখানো হয়নি। বিজেপি বানিয়ে মিথ্যা কথা বলছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। আইন আইনের মত চলবে। তার পিসি তৃণমূল নেত্রী হলেও তৃণমূল এ বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করেনি। করবেও না।”