বনগাঁ: অ্যাপেনডিক্স সার্জারি করতে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল এগোরো বছরের কিশোর। তবে আর প্রাণ হাতে ফিরল না বাড়ি। মৃত্যু হল কিশোরের। পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসক ও নার্সিংহোমের গাফিলতির জেরেই এই মৃত্যু। উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার পাঁচপোতা গ্রামের বাসিন্দা জয়দেব সরকার।
মৃতের নাম অভিজিৎ সরকার (১১)। পেটে ব্যথার সমস্যা নিয়ে তার পরিবার যোগাযোগ করে লক্ষ্মণ সাহা নামে এক চিকিৎসকের কাছে। মৃতের পরিবারের দাবি, ডাক্তারবাবু অ্যাপেনডিক্স অপারেশন করার জন্য বনগাঁর একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি করতে বলেন।
তাঁর কথামতো শুক্রবার পরিবারের পক্ষ থেকে নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। শনিবার দুপুরে মাইক্রো সার্জারি করা হয় অভিজিতের। অপারেশনের পরেও জ্ঞান ফেরেনি নাবালকের। মৃতের পরিবারের এও দাবি, নার্সিংহোমে বিষয়টি জানতে চাইলে বলা হয়, ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে নার্সিংহোমের তরফ থেকে পরিবারকে জানানো হয় মৃত্যু হয়েছে অভিজিতের। নাবালকের মৃত্যুর পরে খবর পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে পরিবার। ডাক্তার এবং নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তোলে তারা। মৃত নাবালকের মা বলেন, “ময়না সরকার ওর অ্যাপেনডিক্স হয়েছিল। সাড়ে বারোটায় বেডে দিয়েছে। সিস্টারকে বললাম আমার ছেলে ঘনঘন নিঃশ্বাস ছাড়ছে। সিস্টার বললেন বেডে দিলে অমন হয়। পড়ে শুনলাম ছেলেটাই নেই।”
এ প্রসঙ্গে চিকিৎসক লক্ষ্মণ সাহা জানিয়েছেন, অপারেশন করার পর তিনি অন্য অপারেশনে ব্যস্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তাঁকে জানানো হয় রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে। এই বিষয়ে তিনি মর্মাহত। কী করে হলো বুঝতে পারছেন না। অন্যদিকে বেসরকারি নার্সিংহোমের মালিক নার্সিংহোম-এর বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, ডাক্তারবাবু হাজার হাজার অপারেশন করেন। তাই অঘটন ঘটতে পারে। এই বিষয়ে যা বলার ডাক্তারবাবু বলবেন ।