AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Old person Death: ‘আমার জায়গায় ইট রেখেছিস কেন?’ ইট, লাঠি নিয়ে ছুটে আসে ওরা, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বৃদ্ধের

Old person Death: অভিযোগ, পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে বৃদ্ধকে। এমনকী মৃত্যুর পরও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Old person Death: 'আমার জায়গায় ইট রেখেছিস কেন?' ইট, লাঠি নিয়ে ছুটে আসে ওরা, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বৃদ্ধের
প্রতিবেশীর মারে বৃদ্ধের মৃত্যু
| Edited By: | Updated on: Sep 11, 2022 | 7:09 PM
Share

দেগঙ্গা : ইট রাখাকে কেন্দ্র করে প্রবল বচসা। প্রতিবেশীদের মারে মৃত্যু হল বৃদ্ধের। উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার ঘটনা। ৬০ বছরের এক বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী এক পরিবারের বিরুদ্ধে। মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্তরা পলাতক। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

রবিবার দেগঙ্গা নুরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাম্ভীরগাছি এলাকায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। বৃদ্ধের নাম জলিল মোল্লা। প্রতিবেশী হবিবার মোল্লা, খলিল মোল্লা, আরিফুল মোল্লা সহ মোট ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। বচসা থেকে হাতাহাতির সূত্রপাত হয়। এরপর পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল বলেই জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লাঠি, ইট নিয়ে জলিল মোল্লা ও তাঁর পরিবারের ওপর আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। এরপর ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান বৃদ্ধ জলিল মোল্লা। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁর পরিবারের দাবি, বৃদ্ধের মৃত্যুর পরও রেয়াত করা হয়নি তাঁকে, মারধর করেছেন প্রতিবেশীরা।

নিহত বৃদ্ধ জলিল মোল্লার ছেলে ফয়জুল্লাহ মোল্লা জানান, বাড়ির সামনে পাঁচিলের গায়ে কিছু ইট কিনে রেখেছিলেন তাঁরা। অভিযুক্ত মতিয়ার মোল্লা ও তাঁর পরিবারের লোকজন, ইট কেন রাখা হয়েছে এই নিয়ে বচসা শুরু করেন বলে দাবি করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, এ দিন দুপুরে যখন পরিবারের সবাই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন, সেই সময় আচমকাই ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। বলতে থাকেন, ‘কেন ইট রেখেছিস?’ আক্রমণ করা হয়। জলিল মোল্লার পরিবারের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর তাঁদের পরিবারের তরফ থেকে ১৪ জন দলবদ্ধভাবে বৃদ্ধ জলিল মোল্লার ওপর আক্রমণ করে বলে অভিযোগ।

ইট দিয়ে, বাঁশের লাঠি দিয়ে বৃদ্ধকে পেটানো হয়েছে বলে অভিযোগ। জলিল মোল্লাকে পড়ে যেতে দেখে, গ্রামবাসীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে বিশ্বরোপপুর হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশিতে নেমেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।