জগদ্দল: গৃহশিক্ষকের সঙ্গে খাদান সিনেমা দেখতে গিয়েছিল পড়ুয়া। পথে সেল্ফি তুলতে চেয়েছিলেন শিক্ষক। তবে ছাত্র রাজি ছিল না। অভিযোগ, এরপরই বকুনি। সঙ্গে কুকথা। শিক্ষককের সেই বকুনি সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা পড়ুয়ার। অভিযোগ অস্বীকার ওই গৃহশিক্ষকের।
শ্যামনগর কান্তিচন্দ্র হাইস্কুল। সেই স্কুলেই পড়াশোনা করতেন দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র রাজা দে। গৃহশিক্ষক তন্ময় চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পড়াশোনা করত ওই ছাত্র। বাবা শঙ্কর দে পেশায় রাজমিস্ত্রি। সোমবার রাজা সিনেমা দেখতে গিয়েছিল তার গৃহশিক্ষকের সঙ্গে। বেরিয়ে শিক্ষক আবদার করেছিলেন সেলফি তোলার জন্য। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেনি রাজা।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বাড়িতে কেউ ছিল না। সেই সুযোগই কাজে লাগায় সে। মঙ্গলবার সকালে ফাঁকা বাড়ি পেয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। মৃতের পরিবারে বয়ান অনুযায়ী এই ঘটনায় জগদ্দল থানার পুলিশ ওই গৃহ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। গৃহ শিক্ষকের কতটা ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল ছাত্রের তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক তন্ময় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি রাজাকে প্রচন্ড ভালবাসতাম। আমি বকেছি। কিন্তু এমন কিছু করিনি যাতে ওকে সুইসাইড করতে হয়। আমার কাছে প্রমাণ আছে। আরও পড়ুয়া ছিল। ওদের জিজ্ঞাসা করুন। আর শিক্ষককে এমনও কী কী মেসেজ করেছে তাও দেখিয়ে দিতে পারি।” মৃত ছাত্রের মা লতা দে বলেন, “আমার ছেলের মতো ছেলে হয় না। এমন কাজ ও করতে পারে না। আমার ছেলে অপমান নিতে পারেনি। সেই কারণে আত্মহত্যা করেছে।”