পানিহাটি পর্দাফাঁস: স্রেফ একটা লিখিত বয়ানে ‘মুক্ত’ অভিযুক্ত! কী লিখেছিলেন চিকিৎসক বিপ্লব রুদ্র?
Panihati Vaccine Case: জেলাশাসক নিজেই জানিয়েছেন, পানিহাটি ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক নাকি থানায় গিয়ে নিজের প্যাডে লিখিত বয়ান দিয়েছেন।
উত্তর ২৪ পরগনা: পানিহাটি টিকা চক্রের (Panihati Vaccine Case) পর্দাফাঁস হতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। অভিযুক্ত পুর চিকিত্সক বিপ্লব রুদ্রকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় খড়দহ পুলিশ। কিন্তু শনিবার রাতেই তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন? কারণ বড় অদ্ভূত।
জেলাশাসক নিজেই জানিয়েছেন, পানিহাটি ভ্যাকসিন কাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক নাকি থানায় গিয়ে নিজের প্যাডে লিখিত বয়ান দিয়েছেন। অভিযুক্ত চিকিত্সক লিখিত জানিয়েছেন, তাঁর চেম্বারে কোনও টিকাই দেওয়া হয়নি। এরপরই তাঁকে পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “এখন তদন্ত চলছে। পুরো তথ্য সামনে আসেনি। ডাক্তার তো লিখিত দিয়েছেন, তাঁর চেম্বারে কিছুই হয়নি। তাহলে মানব কীভাবে? অভিযুক্ত চিকিত্সক বিপ্লব রুদ্র তো তাই বলেছেন, কীভাবে তা বিশ্বাস হবে? এখনও পুরো তথ্য সামনে আসেনি।”
তিনি জানিয়েছেন, ডেপুটি জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের তত্ত্বাবধানে একটি কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। যারা অভিযুক্ত তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তবে জেলাশাসকের এমন মন্তব্যে প্রশ্ন উঠেছে। যাঁর বিরুদ্ধেই অভিযোগ, তাঁর একটা লিখিত বয়ানে কীভাবে পুলিশ তাঁকে ছেড়ে দিল?
তাতে তো তদন্তের গতি ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। প্রশ্ন উঠছে, এতে কোনও তথ্য প্রমাণ লোপাটের সম্ভবনা থাকছে না তো?
টিকাচক্রের পর্দা ফাঁস হতেই অস্বস্তি বেড়েছে পানিহাটি পুরসভার। একজন চিকিত্সক তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বারে টিকা দিলেন, তাহলে তাঁদের কাছে কীভাবে পুরসভার নথি পৌঁছে গেল? অভিযুক্ত চিকিত্সক বিপ্লব রুদ্র পুরসভার চুক্তিভিত্তিক মেডিক্যাল অফিসার ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ২ নম্বর প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিলেন। এক একটা আরবান এলাকার দায়িত্বে থাকেন মেডিক্যাল অফিসাররা। টিকা বণ্টনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তাঁরা। পুরসভার ভাগ থেকে যে টিকা যায়নি, সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
পুরসভার স্ট্যাম্প ব্যবহার করা হল? তা নিয়ে এখন অন্ধকারে পানিহাটি পুরসভা। পুর কর্তা TV9 বাংলাকে বলেন, “আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের মাধ্যমেই জেলাশাসক খবর পান। সেখান থেকে এসডিও মারফত আমাদের কাছে খবরটা আসে।”
পানিহাটি টিকা চক্রে আরও একাধিক প্রশ্ন উঠে আসছে, যেমন ৩০০ টাকায় কোভিশিল্ডের ব্যবস্থা কীভাবে? দাম অবিশ্বাস্যও কম, তবে কি এই টিকাও জাল? কোথা থেকে এল টিকা? তবে এই প্রশ্নের উত্তর হাতরাচ্ছে পুরসভাও। আরও পড়ুন: কেবল ৩০০ টাকাতেই কীভাবে কোভিশিল্ড? তবে কি এটাও নকল? পানিহাটি টিকাচক্রে জোরাল হচ্ছে প্রশ্ন