AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ashoknagar: মাথা পিছু ১০ হাজার! আইনের ফাঁক দিয়ে কীভাবে কিডনি পাচারে সাহায্য করতেন এই আইনজীবী জানুন

Ashoknagar: এর আগে কিডনি পাচার চক্রে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল অশোকনগর থানার পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই উঠে আসে এই আইনজীবীর নাম। সেইমতো আইনজীবীর বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ অশোকনগর থানায় হাজির হন আইনজীবী। রাত তিনটে পর্যন্ত অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।

Ashoknagar: মাথা পিছু ১০ হাজার! আইনের ফাঁক দিয়ে কীভাবে কিডনি পাচারে সাহায্য করতেন এই আইনজীবী জানুন
কিডনি পাচার চক্রে জড়িত অভিযোগে ধৃত আইনজীবীImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Jun 06, 2025 | 5:37 PM
Share

অশোকনগর: অশোকনগরে কিডনি পাচার কাণ্ডে এবার পুলিশের জালে এক আইনজীবী। ধৃতের নাম প্রদীপ কুমার বর। বছর সাঁইত্রিশের ওই আইনজীবীর বাড়ি বাঁশদ্রোণীতে। কিডনি পাচার চক্রে এর আগে ধৃত পাঁচজনকে জেরা করেই ওই আইনজীবীর নাম জানতে পারে পুলিশ। কিডনি পাচার কাণ্ডে জাল নথিপত্র তৈরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছে অশোকনগর থানার পুলিশ।

এর আগে কিডনি পাচার চক্রে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছিল অশোকনগর থানার পুলিশ। তাঁদের জেরা করেই উঠে আসে এই আইনজীবীর নাম। সেইমতো আইনজীবীর বাড়িতে নোটিস পাঠিয়ে তাঁকে ডাকা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ অশোকনগর থানায় হাজির হন আইনজীবী। রাত তিনটে পর্যন্ত অশোকনগর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই আইনজীবী মূলত প্র্যাকটিস করতেন কলকাতা আলিপুর আদালতে। হাবরা, অশোকনগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার যে সমস্ত কিডনি পাচার চক্রের ঘটনা ঘটেছে, সব ক্ষেত্রে হলফনামা হয়েছে আলিপুর আদালত থেকে। তাতেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। ধৃতদের কাছ থেকে ওই আইনজীবীর নাম জানার পরই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়।

পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই চক্রের মধ্যস্থতাকারী হিসাবে ২০১৪ সাল থেকে ওই আইনজীবী কাজ করছেন। আদালতে হলফনামার জন্য ৫০০ টাকা লাগে। সেখানে তিনি ১০ হাজার টাকা করে নিতেন। মূলত আদালতের ওই কাগজে তিনি উল্লেখ করতেন, কিডনি দেওয়া নিয়ে কোনওরকম টাকার লেনদেন নেই। কোনও দালাল যুক্ত নেই। ধৃতকে এদিন বারাসত আদালত তোলা হয়।

কিডনি পাচারে আইনজীবীর জড়িত থাকা নিয়ে হাবরা ২ পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ গুপী মজুমদার বলেন, “একজন আইনজীবী কিডনি পাচার চক্রে যুক্ত, এটা অবাক করার মতো ঘটনা। কিডনি পাচার জঘন্যতম কাজ। এতে যুক্তদের সবার শাস্তি হোক।”