Jewellery Shop Robbery: সোনার গহনা লুট করল সোনার দোকানেরই মালিক, পানিহাটিতে জোর শোরগোল
Jewellery Shop Robbery in Panihati: তড়িঘড়ি তদন্তে নামে ঘোলা থানার পুলিশের একটি দল। দিন কয়েকের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় রাম সমাদ্দার নামে এক অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাম সমাদ্দার সেদিনের লুটপাটের মূল চক্রী। তার নেতৃত্বেই একদল দুুষ্কৃতী মহেন্দ্রনগরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল।

পানিহাটি: সোনা গহনা চুরি করছেন সোনার দোকানেরই মালিক? পানিহাটিতে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। পুলিশের জালে এখনও পর্যন্ত পাকড়াও ১ দুষ্কৃতী-সহ ওই মালিক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৬ই অগস্ট পানিহাটি পৌরসভার অন্তর্গত ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মহেন্দ্রনগর এলাকায় মদ্যপানের প্রতিবাদ করায় বেশ কয়েকজনের বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় কিছু দুষ্কৃতী। চুরি যায় বহু মূল্যবান সোনার গহনা। ভেঙে দেওয়া হয় বাড়ির অন্য়ান্য় সামগ্রী। এরপরই থানায় দ্বারস্থ হন স্থানীয়রা।
তড়িঘড়ি তদন্তে নামে ঘোলা থানার পুলিশের একটি দল। দিন কয়েকের মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় রাম সমাদ্দার নামে এক অভিযুক্তকে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই রাম সমাদ্দার সেদিনের লুটপাটের মূল চক্রী। তার নেতৃত্বেই একদল দুুষ্কৃতী মহেন্দ্রনগরের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। তবে রাম একা নন। এই হামলার পিছনে যে আরও একটা মাথা রয়েছে, তা আগেই ঠাওর করে পুলিশ। চলে জেরা। রামের বেরিয়ে আসে আরেক অভিযুক্তের নাম। তাপস দাস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় সোনা ব্যবসায়ী বলেই পরিচিত তাপস। তবে কি ৬ই অগস্ট চুরি যাওয়া গহনাগুলি তাপসের কাছে বিক্রি করেছিল রাম? সন্দেহ তৈরি হয় পুলিশের মনে। তড়িঘড়ি অভিযানে নামে তারা। চলে যায় তাপসের সোনার দোকানে। সেখানেই মিলে যায় চুরি যাওয়া সোনার গহনাগুলি। তারপর সেই ভিত্তিতেই শুক্রবার তাপসকে গ্রেফতার হয়েছে। রামের বয়ান ধরেই সোনার দোকানের মালিকের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। আপাতত এই দুই অভিযুক্তকে ছয় দিনের হেফাজত চেয়ে ব্য়ারাপুর আদালতে পাঠানো হবে বলেই জানা গিয়েছে। খোঁজ চলছে আরও দুই অভিযুক্তের।
