AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Ragging: সোশ্যাল মিডিয়ায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী IISER-এর ছাত্র

Ragging: অভিযোগ,  অনমিত্র  দীর্ঘদিন ধরেই র‌্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছিলেন। ল্যাবের এক সিনিয়র পিএইচডি ছাত্র তাঁকে হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি ল্যাবের সুপারভাইজারকে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা।

Ragging: সোশ্যাল মিডিয়ায় র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে আত্মঘাতী IISER-এর ছাত্র
আত্মঘাতী ছাত্রImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2025 | 8:36 PM
Share

উত্তর ২৪ পরগনা: সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনিয়রের বিরুদ্ধে র‍্যাগিংয়ের অভিযোগ তুলে আত্মহত্যা আইজারের গবেষক ছাত্রের। সোশ্যাল মিডিয়ায় কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগড়ে দেন ছাত্র। নদিয়ার হরিণঘাটা ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (IISER) ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রের নাম অনমিত্র রায় (২৫)। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগরে। আইজারের পিএইচডির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

অভিযোগ,  অনমিত্র  দীর্ঘদিন ধরেই র‌্যাগিংয়ের শিকার হচ্ছিলেন। ল্যাবের এক সিনিয়র পিএইচডি ছাত্র তাঁকে হেনস্থা করতেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি ল্যাবের সুপারভাইজারকে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। এমনকি ওই সিনিয়র গবেষক ছাত্রের বিরুদ্ধে আইজার কলকাতা অ্যান্টি র‍্যাগিং সেলের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন অনমিত্র। তাতেও সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।

কলেজ সূত্রেই জানা গিয়েছে, কোনও সমাধান না হওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েন অনমিত্র। এরপরই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন তিনি। আত্মহত্যার আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন অনমিত্র। সেখানে অভিযুক্ত গবেষক ছাত্র ও সুপারভাইজারের নাম লিখে যান তিনি। এমনকি ওই গবেষক ছাত্রের পিএইচডি বাতিল করারও আবেদন জানান অনমিত্র।

পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হস্টেলে ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনমিত্র।  এরপর তাঁকে কল্যাণী এইমস-এ ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। পরিবার সূত্রে খবর, র‍্যাগিংয়ের ফলেই মৃত্যু হয়েছে অনমিত্রর। এমনই দাবি মৃতার দিদির। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে। যদিও আইজার কর্তৃপক্ষের দাবি, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

ঁভাটপাড়ার ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুকেশ বিশ্বাস বলেন, “মেধাবী ছাত্র ছিল। হঠাৎ করেই কেন এই সিদ্ধান্ত নিল, বোঝা যাচ্ছে না। ছেলেটা তো সবার সঙ্গেই এখানে কথাবার্তা বলত হেসে।”