উত্তর ২৪ পরগনা: স্বাস্থ্য কর্মীদের মারধর ও হেনস্থার প্রতিবাদে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন চলছে। কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। এবার দশ দফা জানিয়ে আন্দোলন চালাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে এই সবের মধ্যে বিপাকে পড়েছেন রোগী ও তাঁর পরিবারের লোকজন। বুকে জমা জল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বরাহনগরের এক বৃদ্ধা রোগী। কোথাও মিলছে না পরিষেবা।অভিযোগ রোগীর আত্মীয়দের। কোনও ডাক্তার দেখল না। কাতর আর্তি রোগীর।
অসহায় ওই বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, বুকে জমা জল নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও হাসপাতালই দেখছে না বলে দাবি। অসুস্থ বৃদ্ধ বলেন, “ডাকল অথচ কিছু করল না।” অপরদিকে, রোগীর ছেলে বলেন, “সাগর দত্তে রেফার করা হয়েছিল। এমার্জেন্সিতে গেলাম। বলল হবে না। এখন মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাব। বলল ডাক্তার নেই। খুব সমস্যায় পড়েছি। একবার এখান থেকে ওইখানে যাচ্ছি। একবার ওইখান থেকে এখানে।”
এ দিকে, জুনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য আইসিইউ (ICU)-তে বেড খালি নেই। দায় ঠেলেই হাসপাতালের পরিকাঠামোকে দুষছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এক চিকিৎসকের বক্তব্য, “আমরা ডাক্তার। আমাদের নৈতিক কর্তব্য রয়েছে এটা ঠিক কথা। কিন্তু এই দায়িত্ব যত না আমাদের রয়েছে, তার থেকে বেশি সরকারের রয়েছে। তাই এই জিনিস দেখা দরকার। সরকার বিভিন্ন জনের কাঁধে বন্দুক রেখে গুলি চালানোর চেষ্টা করছে। কখনও ডাক্তার, কখনও নার্স, কখনও আমলা, এই ভাবে সাধারণ মানুষকে দাঁড় করানো হচ্ছে। এইভাবে সরকারের নিজস্ব দায়িত্ব বিভিন্ন জনকে শিখন্ডি হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিয়ে নিজের দায়িত্ব বাইপাস করে যাচ্ছে। আমাদের নিজেদেরও ভাল লাগছে না এইভাবে বসে থাকতে। পরিকাঠামোগত সমস্যা রয়েছে। তাই এর দায় আমাদের নয়।” আরও এক চিকিৎসক জানালেন, “রোগী ভার্সেস ডাক্তার এমন একটা ধারনা তৈরি হয়েছে। আইসিইউ-তে বেড ছিল না বলে ওঁরা পাননি। কালকে বিষয়টি যদি এমার্জেন্সি থেকেই জানতে পেরে যেতেন, আর প্রপার রেফারেল সিস্টেম থাকত তাহলে এই হেনস্থায় পড়তেন না।”