সন্দেশখালি: শনিবার সন্দেশখালি গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। সন্দেশখালি ঘুরে দেখে, সেখানকার মানুষদের সঙ্গে কথা বলে মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক বলেছিলেন, “শেখ শাহজাহানের নামে তো কোনও অভিযোগ নেই। কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।” আর বলেছিলেন, “সব শুনেছি, সব দেখেছি, সব ঠিকাছে।” কিন্তু মন্ত্রীরা ফিরতেই ফের বিক্ষোভের আগুন সন্দেশখালিতে। এবার ঝুপখালি। পথে নামলেন ঝুলখালির কয়েকজন মহিলা। এখানেও উঠে আসছে নতুন এক পঞ্চায়েত নেতার নাম। সঙ্গে বিক্ষোভকারী মহিলারাই বলছেন, “মন্ত্রীরা তো এলেন, ওখান থেকেই ঢাক বাজিয়ে চলে গেলেন, এখানে এলেন কই!”
অজিত মাইতি, শঙ্গর সর্দার, হলধর আড়ি, তপন সর্দারের পর বেড়মজুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান হাজি সিদ্দিক মোল্লা। হাতে লেখা ডেপুটেশন নিয়ে পুলিশের কাছে জমা দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। পথে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন। পুলিশি বাধার মুখে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, হাজি সিদ্দিক মোল্লা আবাসের ঘর দেওয়ার নাম করে তাঁদের কাছ থেকে ১৫ হাজার কিংবা ২০ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। জব কার্ডের জন্যও নেওয়া হয়েছে ১০ হাজার টাকা। সেই কারণেই বিক্ষোভ।
এক মহিলা বলেন, “আমাদের ঘর ভেঙে দেবে বলেছে বুলডোজার দিয়ে, আমাদের বুথে এসে জোর করে ভোট নিয়ে নেয়। স্বামীদের ধমকায়।” আরেক মহিলা বলেন, “এখানে প্রতিবাদের কোনও জায়গা নেই। আমাদের ছেলেদের তুলে নিয়ে গিয়ে বাগদীপাড়া পীঠে হাত পা ভেঙে দেবে। ” যেদিন মন্ত্রীরা এসেছিলেন, তখন হাজি সিদ্দিক মোল্লা তাঁদের পাশেই ছিলেন। কিন্ত মন্ত্রীদের তাহলে কেন কিছু বললেন না? মহিলাদের উত্তর, “আমরা তো বলব বলে তো দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু এখানে তো আসেননি। ঢোল বাজিয়ে ভয়ে ওদিক থেকেই চলে গেলেন, এদিকে তো এলেন না।”
পুলিশের তরফ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাঁরা যাতে বিক্ষোভ না দেখান, তাঁর অভিযোগ গ্রহণ করে রিসিভ কপি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তা মানতে চাননি গ্রামবাসীরা। এক মহিলা পুলিশকেই বলেন, ” ১৪৪ ধারা আছে? তাহলে কাগজ দেখান? পুলিশ তো এই আছে, এই নেই। পুলিশ তো এখান থেকে চলেই যাবে। আমাদের এখনও কোনও ভরসা নেই পুলিশের ওপর।” শেষমেশ পুলিশকে সরিয়েই সামনে এগোতে থাকেন বিক্ষোভকারী মহিলারা।