বনগাঁ: বিদ্যাধরী নদীর পাড় বুজিয়ে নিজের মেয়ের নামে বাজার তৈরি করতেও নিয়মকানুনের তোয়াক্কা করেননি সন্দেশখালি এলাকায় তৃণমূলের বেতাজ বাদশা শাজাহান শেখ! অভিযোগ এমনটাই। ইডি-র উপর হামলার ঘটনার পর থেকেই তাঁকে নিয়ে শোরগোল চলছে। এবার যেন একই ছবি শঙ্কর আঢ্যর ক্ষেত্রেও। উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাকালীন প্রভাব খাটিয়ে ইছামতী নদীর থেকে বালি তুলে বনগাঁ থানার সমনের পিডব্লিউডির একটি জলাভূমি ভরাট করেছেন শঙ্কর। সেখানে তৈরি করেছেন বিলাসবহুল হোটেল, জিম সেন্টার ও সুইমিং পুল। সেই হোটেল আবার ৯৯৯ বছরের জন্য নিজের পরিবারের সদস্যদের নামে নামমাত্র ভাড়ায় লিজে দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যা নিয়ে এখন জোর শোরগোল চলছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।
হোটেল ভেঙে পুনরায় জলাভূমি ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে এদিন বিকালে বনগাঁ থানার সামনে থাকা হোটেলের সামনে বিক্ষোভ দেখাল বনগাঁ জেলা বিজেপি। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডলের অভিযোগ, নিজের পাওয়ার খাটিয়ে PWD এর আধিকারিকদের ভয় দেখিয়ে এই বিল্ডিং তৈরি করেছেন। একই সঙ্গে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করে বলেন, ডাকু জেলে যাওয়ার পর আর একজন ডাকু হওয়ার চেষ্টা করছে। আগামীদিনে তাঁর বাড়িতেও ইডি যাবে।
তবে দেবদাসকে পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। বনগাঁ জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি নারায়ণ ঘোষ বলেন, “হাইলাইট হাওয়ার জন্য এই সমস্ত বক্তব্য রাখছেন জেলা বিজেপি সভাপতি। আসলে মানুষের জন্য কাজ করে না। বিজেপিকে বলুন সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে। যিনি বলছেন তিনি এত সম্পত্তি করেছেন কী করে? অভিযোগ করতে হয় সেই কারণে করছেন, অভিযোগের কোন ভিত্তি নেই।”