বনগাঁ: ঠাকুরবাড়ির কোনও উপকার করেননি, বরং ঠাকুরবাড়িতে ভাঙন ধরাতে চেয়েছিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। নিজের আখের গোছাতেই ঠাকুরবাড়িতে প্রভাব খাটাতেন তিনি। মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর এই ভাষাতেই ক্ষোভ উগরে দিয়ে বললেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তবে জ্যোতিপ্রিয় না থাকলে রাজনীতির দুনিয়ায় ঠাকুর পরিবারের কোনও সদস্যই জায়গা পেতেন না বলে দাবি করেছেন ঠাকুরবাড়ির আর এক সদস্য মমতাবালা ঠাকুর। বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন মন্ত্রী। মমতাবালা ঠাকুরের দাবি, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখেই সবাই ভোট দেন, তাই মন্ত্রী সরে গেলেও কোনও প্রভাব পড়বে না।
কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের কথায়, যে অন্যায় করেছে তার শাস্তি পেতেই হবে। তিনি মনে করেন, মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুরকে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন বালু, কিন্তু তা হয়নি বলে মতুয়া বাড়ির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করেছেন।
বালু গ্রেফতার হওয়ার পর ঠাকুরবাড়ির রাজনৈতিক সমীকরণে কি কোনও প্রভাব পড়বে? এই প্রশ্নে মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘কোনও প্রভাব পড়বে বলে আমি মনে করি না। যে সব মানুষ তৃণমূলকে ভালবাসেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে ভোট দেন, ব্যক্তিস্বার্থ বলে কিছু থাকে না।’ আর ঠাকুরবাড়িতে স্বার্থসিদ্ধি করার যে অভিযোগ উঠেছে, সেই প্রসঙ্গে মমতাবালার জবাব, রাজনীতিটা জ্যোতিপ্রিয়র জন্যই ঠাকুরগাড়িতে এসেছে। না হলে কেউই মন্ত্রী বা বিধায়ক হতেন না।