গোয়ালপোখর: পাঞ্জিপাড়া গুলিকাণ্ডে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু মূল অভিযুক্ত সাজ্জাক আলমের। বাংলাদেশে পালাতে গিয়ে পুলিশের মুখোমুখি সাজ্জাক। সূত্রের খবর, সাজ্জাককে ধরতে গেলে সে পালানোর চেষ্টা করে। আর তখনই গুলি চালায় পুলিশ। গুরুতরভাবে জখমও হয়। নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। সদ্য গোয়ালপোখরের পাশাপাশি মালদহ থেকেও ঘুরে এসেছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। দিয়ে এসেছিলেন কড়া বার্তা। সাফ বলেছিলেন, ‘ওরা গুলি করলে আমরাও চারগুণ বেশি গুলি করব।’ তাতেই যেন নতুন করে অক্সিজেন পায় জেলার পুলিশ। এই সাজ্জাকের খোঁজে পোস্টারও দিয়েছিল পুলিশ। মাথার দাম ধার্য করা হয়েছিল ২ লাখ।
পুলিশ সূত্রে খবর, এপারে পুলিশ তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে তল্লাশি শুরু করতেই বাংলাদেশে পালানোর পুরো প্ল্যান রেডি করে ফেলেছিল সাজ্জাক। কিন্তু, গোপন সূত্রে সেই খবর এসে গিয়েছিল পুলিশের কাছে। এরইমধ্যে গোয়ালপোখর থেকে ঘুরে আসেন রাজীব কুমার। সাজ্জাককে ধরতে নতুন করে ঘুঁটি সাজায় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সাজ্জাকের বাংলাদেশ পালানোর ছক ভেস্তে দিল পুলিশই। সূত্রের খবর, গোয়ালপোখরের কিচকটোলা এলাকায় গুলি করা হয়েছে সাজ্জাক। তাঁর পায়ে ও পেটে গুলি লেগেছে। উদ্ধার করে গোয়ালপোখরের লোধন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের যান রায়গঞ্জ রেঞ্জের ডিআইজি যান, ইসলামপুরের এসপি। কিছু সময়ের মধ্যেই সূত্র জানা যায় মৃত্যু হয়েছে সাজ্জাকের।
সূত্রের খবর, সাজ্জাক পাল্টা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। গত দু’দিন ধরে তিন থেকে চার জায়গা থেকে পালানোর চেষ্টা করছিল। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার কালিয়াচকের নওদা যদুপুরের দাড়িয়াপুর মোমিনপাড়া এলাকায় তৃণমূল কর্মী হাসা শেখকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগ ওঠে। প্রকাশ্যেই হামলা করা হয় তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল শেখ-সহ তাঁর ভাই এসারুদ্দিনের ওপরও। এ ঘটনাতেও শুক্রবার কালিয়াচক থেকে গ্রেফতার করা হয় জাকির শেখকে। এই মালদহ থেকেও ক’দিন আগে ঘুরে এসেছিলেন রাজীব কুমার।