খড়দহ: ডিএ-এর দাবিতে চলছে আন্দোলন। কিন্তু সেই ডিএ দিতে গেলে নাকি লক্ষ্মীর ভান্ডার আর স্বাস্থ্য সাথীর পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতে হবে সাধারণ মানুষকে। অন্তত তেমনটাই দাবি করলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। খড়দহ পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় দিদির সুরক্ষাকবচ অনুষ্ঠানে যান। সেখানে শোভনদেব বলেন, “কেন্দ্রের হয়তো কিছু টাকা বেড়েছে। কিন্তু আমারটা না বাড়লে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। কিন্তু এই ডিএ-টা দিতে গেলে, লক্ষ্মীর ভান্ডার, কন্যাশ্রীর টাকা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের টাকা বন্ধ হয়ে যাবে।” তিনি আরও বলেন, “আপনারাই বিচার করে দেখুন, তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিবের জন্য ভাববে না কেবল সরকারি কর্মীদের জন্য” যদিও এই বিষয়টা নিয়ে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের বক্তব্য, “তাহলে বোঝাই গেল, সরকারি কর্মীদের টাকায় সরকারি প্রকল্প হচ্ছে। তাহলে এই বিষয়টা প্রকাশ্যে এসে বলে দেওয়াই ভাল।”
একদিকে যখন ডিএ-এর দাবিতে সরকারি কর্মীরাই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন অন্যদিকে চাকরিতে নিয়োগের দুর্নীতির নিত্য নতুন অভিযোগে বিদ্ধ হতে হয়েছে তৃণমূল। গ্রেফতার হয়েছেন শাসকদলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়কের নাম। কিন্তু দলের সবাই ‘চোর’ নয়, এখন সেই বার্তা দিতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। খড়দার পাতুলিয়ায় দলের একটি অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,”আমার গাড়ির পাশে কিছু সিপিএমের লোক চোর চোর চোর বলে চলে যাচ্ছে। আমাকে যেদিন কেউ চোর প্রমাণ করতে পারবে, সেদিন সবার আগে আমায় বলতে হবে না, আমি দল ছেড়ে দেব।”
তিনি উদাহরণ দেন, “ধরুন আমার দুটো ছেলে। একটি ছেলে যদি সঙ্গ দোষে নষ্ট হয়ে যায় গোটা পরিবারকে খারাপ বলবেন?”
এদিনের গোটা বক্তৃতার বিস্তর অংশ জুড়ে ছিল সিপিএম-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি অভিযোগও। তিনি বলেন, ” সিপিএম হচ্ছে একটু চালাক চোর, আর আমাদের লোকগুলো যারা করেছে, তারাও চোর, তবে সিপিএম একটু চালাক। বুদ্ধি করে চুরি করেছে।চাকরি দিয়েছে, তবে টাকা একবারে নেয়নি। এমনভাবে টাকা নিয়েছে, যাতে প্রত্যেক মাসে বেতনের একটা অংশ পার্টি খাতে ঢুকে যায়।” তিনি বলেন, “উভয় ক্ষেত্রেই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রয়োজন।”