বনগাঁ: তিনি আসার পর থেকে আমূল বদলেছে স্কুলের অবস্থা। বেড়েছে পড়াশোনার মান, একধাক্কায় ৬ থেকে ৭ গুণ বেড়ে গিয়েছে পড়ুয়ার সংখ্যা। এমনটাই মত অভিভাবকদের। কিন্তু, সেই প্রধান শিক্ষককেই বদলি করে দিতে পারে সরকার। বিগত কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল এমনই জল্পনা। তাতেই মন খারাপ পড়ুয়া থেকে অভিভাবকদের। প্রতিবাদে প্লাকার্ড হাতে স্কুলের সামনে বিক্ষোভও দেখালেন তাঁরা। একটাই দাবি বদলি করা যাবে না প্রধান শিক্ষককে। এদিন এই ছবিই দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ ব্লকের রঘুনাথপুর এফ পি বিদ্যালয়ে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে রঘুনাথপুর এফ পি বিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসাবে কাজে যোগ দেন সোমনাথ মুণ্ডা। সেই সময় স্কুলে ছিল ১২ থেকে ১৩ জন পড়ুয়া। ২০১২ সালে দায়িত্ব বাড়ে তাঁদের। স্কুলের প্রধান শিক্ষককের দায়িত্ব এসে পড়ে তাঁর কাঁধে। অভিভাবকদের দাবি, তারপর থেকে গোটা স্কুলের চিত্রটাই পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। তাঁর হাতে সন্তানদের ছেড়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন তাঁরা। নিজের ছেলেমেয়ের মতোই তিনি তাঁদের পড়ান, খেয়াল রাখেন। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই স্কুলে হু হু করে বেড়ে পড়ুয়ার সংখ্যা। এখন স্কুলে মোট পড়ুয়া ৭০।
তাই পড়ুয়া থেকে অভিভাবক, সকলেরই একটাই দাবি, সোমনাথবাবু ছাড়া চলবে না স্কুল। ছাড়া যাবে না তাঁকে। সে কারণেই এদিন তাঁরা একজোট হয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। গ্রামের ৭৭১ জন বাসিন্দা এদিন একটি ডেপুটেশন লিখে তাতে সই করে পাঠাচ্ছেন স্কুল পরিদর্শকের কাছে। সেখানে সাফ লেখা, কোনওভাবেই অন্য স্কুলে বদলি করা যাবে না সোমনাথবাবুকে। এদিকে এলাকাবাসীদের ভালবাসায় আপ্লুত সোমনাথবাবুও। তিনি বলেন, “স্কুলের সব পড়ুয়াই আমার সন্তানের মতো। ওদের খেয়াল রাখতে পেরে, পড়াতে পেরে আমি খুব খুশি। বদলির ব্যাপারে এখনও হাতে নোটিস পাইনি। নির্দেশিকা এলে ভেবে দেখব।”