পেট্রাপোল: ‘দুনিয়ার হিন্দু এক হও…।’ সোমবার পেট্রাপোল সীমান্তে গিয়ে সমাবেশ করেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে দল-মত নির্বিশেষে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তবে এপারের এই আন্দোলন ওপারের হিন্দুদের জোগাচ্ছে মনোবল। বলছেন বাংলাদেশিদেরই একাংশ।
সোমবার পেট্রোপোল সীমান্তে আসা বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলে টিভি ৯ বাংলা। এক বাংলাদেশি নাগরিক বললেন, “বাংলাদেশে আগে ভাল ছিলাম। এখন মন্দির ভাঙা-মসদিজ ভাঙা এই সব চলছে। কেউ কারও সঙ্গে কথা বলে না। একটু চুপচাপ। পরিস্থিতি।” আর এক বাংলাদেশি নাগরিক বলেন, “আমরা শুনেছি গোটা বিশ্বজুড়েই হিন্দুদের উপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হচ্ছে। ভারতেও আন্দোলন হচ্ছে। এত বাংলাদেশের হিন্দুদের মনোবল তো কিছুটা বাড়বেই। কারণ সমর্থন বাড়লে তো মনোবল বাড়ে।”
চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারির পর অস্থিরতা তৈরি হয় বাংলাদেশে। এর প্রতিবাদে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গে প্রতিবাদ শুরু হয়। সোমবার পেট্রাপোল সীমান্তে আন্দোলনে নামেন সনাতানী ঐক্য পরিষদ। যে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন শুভেন্দু অধিকারী। ফলত, ওই দেশের সনাতনীদের মধ্যে কোথাও একটা মনোবল বাড়ছে। কারণ তাঁদের যে আন্দোলন হচ্ছে, তাতে সামিল হচ্ছেন এপার বাংলার মানুষজন। কারণ, শুভেন্দু যেভাবে সীমান্তে এসে আন্দোলন করে গিয়েছেন তাতে পড়শি দেশের সংখ্যালঘুরা মনে জোড় পাচ্ছেন বলেই মনে করছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, শুধু সীমান্তে নয় গতকাল বিধানসভার বাইরেও শুভেন্দু অধিকারী স্লোগান দেন। তাঁর নেতৃত্বে বাকি বিজেপি বিধায়করাও সেই স্লোগান তোলেন। বলেন, “দুনিয়ার যত হিন্দু এক হও।” বিরোধী দলনেতা বারবার বলেন, “মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। ইস্কনের পক্ষ থেকে যাঁরা গোটা পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে আছেন তাঁদের ভয়ঙ্করভাবে রিয়্যাক্ট করা উচিত। বাংলাদেশে হামাস, আইএস, তালিবানের থেকেও খারাপ একটি জঙ্গিবাদ কাজ করছে বলে এ দিন জানান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “সন্ন্যাসীদের আইনজীবীদের মৃত্যু মুখে ফেলা হচ্ছে। নয়ত গ্রেফতার করা হচ্ছে। গোটা পৃথিবীর হিন্দুদের সময় হয়েছে রাজনীতির রঙ ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়া।”