AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Tapas Mondal: সিজিও কমপ্লেক্সে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা করল ইডি

ED: এ নিয়ে তিন দিন ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন তাপস। শনিবার বিকাল ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন।

Tapas Mondal: সিজিও কমপ্লেক্সে মানিক ঘনিষ্ঠ তাপসকে প্রায় ৪ ঘণ্টা জেরা করল ইডি
তাপস মণ্ডল (ফাইল ছবি)
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2022 | 9:42 PM
Share

কলকাতা: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চালাচ্ছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই মামলায় মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করল ইডি। এ নিয়ে তিন দিন ইডি-র দফতরে হাজিরা দিলেন তাপস। শনিবার বিকাল ৪টে ৩৫ মিনিট নাগাদ তিনি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি-র দফতরে হাজিরা দেন। সেখানে তাঁকে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকরা। প্রায় চার ঘণ্টা জেরার পর সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে যান তাপস।

মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস ৪০০টি বেসরকারি কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন পদে আসীন ছিলেন। একজন মানুষের পক্ষে এতগুলো কলেজের বিভিন্ন পদে কী ভাবে থাকতে পারেন, তা অবাক করেছে গোয়েন্দাদের। ক্ষমতাশালীর প্রভাব বিস্তার করেই যে তিনি দায়িত্ব পেয়েছিলেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তদন্তকারী আধিকারিকেরা। এর আগে তাপস মণ্ডলের মিনার্ভা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটিতে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার হয়েছিল। মানিকপুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের সংস্থার সঙ্গে ৫৩০টি বেসরকারি কলেজের মান উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৩৪ লক্ষ টাকার চুক্তি হয়েছিল বলে জানতে পেরেছেন ইডি আধিকারিকরা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাক্তন প্রাথমিক পর্ষদ সভাপতি সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল তাপসের। এর কিছু তথ্যপ্রমাণও গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে বলে সূত্রে মারফত জানা গিয়েছে।

আগামী ২ নভেম্বর ফের তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ইডি দপতরের হাজিরার জন্য তলব করা হয়েছে। মূলত ডিএলএডের অফলাইন রেজিস্ট্রেশন বুক নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি নগরীর মহিষবাতানে প্রতিষ্ঠান চালানোর আড়ালে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির কাজ চালানো হত বলে দাবি ইডি আধিকারিকদের। বাম জামানায় বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থা মিনার্ভা ফিনান্স চিট ফান্ড চালাতেন তিনি। মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ায় বাজার থেকে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ইডি তদন্তকারী আধিকারিকরা মনে করছেন শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাজেয়াপ্ত হওয়া টাকা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। মানিক-তাপসদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও টাকা উদ্ধার হবে বলে মনে করছেন ইডি আধিকারিকরা।