অশোকনগর: ছোট থেকেই এলাকায় মেধাবী ছাত্র বলেই পরিচিত। স্কুলে বরাবরই প্রথম স্থানটা ছিল তারই দখলে। এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Exam) দশম স্থান অধিকার করে চমকে দিল অশোকনগর (Ashoknagar) বয়েজ সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র তনয় টিকাদার। চোখ ধাঁধানো সাফল্যের পর তনয় কিন্তু শুধু নিজের উচ্চ শিক্ষা, আলোয় মোড়া ভবিষ্যতের কথা ভাবছে না। একইসঙ্গে দেখছে দিন বদলের স্বপ্ন। দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার করুণ দশা মনে ঝড়ে তোলে এই কিশোরের মনে। দেশের বেকারিত্ব দেখেও কেঁদে ওঠে মন। তনয়ের স্বপ্ন বড় হয়ে যোগ দেবে সিভিল সার্ভিসে। পারলে বদলে দেবে শিক্ষা ব্যবস্থা।
টিভি-৯ বাংলার মুখোমুখি হয়ে মাধ্যমিকের এই কৃতী বলেই দিল, “বড় হয়ে আইএএস অফিসার হতে চাই। শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন করতে চাই। আমাদের দেশে যে এত জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু চাকরি পাওয়া যাচ্ছে না, সবই বেসরকারিকরণ হয়ে যাচ্ছে, সরকারি স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থা অনেকটা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ব্যপারে পদক্ষেপ করতে চাই।” ছেলের সাফল্যে স্বভাবতই খুশি তনয়ের মা-বাবাও। তবে তনয়ের মুখে এদিন বারবার শোনা গেল দাদুর কথা। তনয় বলছে, “আমি যখন ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন দাদু মারা গিয়েছেন। আমার ওই দাদুই পড়াশোনার পিছনে আমাকে খুবই উজ্জীবিত করেছিলেন। সঙ্গে মা-বাবাও আছে। স্কুল থেকে গৃহশিক্ষকদের থেকে খুব সাপোর্ট পেয়েছি।”
ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভাল বলে এলাকায় সুপরিচিতি রয়েছে। কিন্তু মাধ্যমিক মেধাতালিকায় ঠাঁই পাওয়ার কথা ভেবেছিল কি কখনও? তনয়ের অকপট উত্তর, “এতটা আশা করিনি। তবে ভাল রেজাল্ট যে হবে, সেই আত্মবিশ্বাস ছিল। দিনে সাত থেকে ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতাম। মাধ্যমিকের আগে সেই সময় কিছুটা বাড়িয়ে ছিলাম।” শুধু পড়াশোনা নয়, পড়াশোনার পাশাপাশি দেশ-কালের খবর রাখতেও বেশ পছন্দ করে এই কিশোর। সুযোগ পেলেই ভেসে যায় হিন্দি-ইংরাজি গানের দোলায়। এখন দেখার উচ্চ শিক্ষা শেষ করে তনয়ের দিনবদলের কারিগর হওয়ার স্বপ্ন কতটা পূরণ হয়।