অশোকনগর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, তাঁর নতুন চাল, পুরনো চাল… দুই-ই প্রয়োজন। তবে তৃণমূলের নবীন-প্রবীণ ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই যে তৃণমূলে শেষ কথা, সে কথা নতুন কিছু নয়। কিন্তু এর পরবর্তী স্তরে দলে কারা অগ্রাধিকার পাবে, তা নিয়েই চলছে ঠোকাঠুকি। এসবের মধ্যেই এবার ‘ব্যাকডেটেড’ সফ্টওয়্যারের তত্ত্ব তৃণমূল বিধায়কের গলায়। অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামীর বক্তব্য, ‘অনেকেই আছেন, যাঁদের সফ্টওয়্যারে আপডেট নেই। অনেক পুরনো সফ্টওয়্যার।’ তাঁর ব্যাখ্যা, সময় ও প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজনৈতিক দল চালাতে হয়। সেক্ষেত্রে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মকাণ্ড তুলে ধরার জন্য নতুন প্রজন্মের প্রয়োজন। বললেন, ‘অনেকেরই সফ্টওয়্যারে আপডেট নেই। সেটা দিয়ে তো হোয়াটসঅ্যাপ করা যাবে না।’
বর্তমান রাজনীতিতে প্রযুক্তি ও সামাজিক মাধ্যমের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী আরও বলেন, “নতুন প্রজন্মের হাতে যদি দল থাকে, তাহলেই সেই তৃণমূল হবে বাংলা ও ভারতের মানুষের কাছে সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্য। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ই পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কাজ বাংলা ও ভারতের মানুষের কাছে তুলে ধরতে।”
তাহলে কি দলের প্রবীণ নেতাদের সফ্টওয়্যার আপডেটের প্রয়োজন রয়েছে? সেই নিয়ে প্রশ্নে অবশ্য সরাসরি কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূল বিধায়ক। নারায়ণবাবুর বক্তব্য, “বিষয়টি তেমন নয়। প্রবীণরাও দলে থাকবেন। একজন তরুণ যে কাজ করতে পারবেন, ৮০-৮৫ বছরের বৃদ্ধের পক্ষে তা সম্ভব নয়। বয়স্ক বা প্রবীণ যাঁরা আছেন, তাঁরা পরামর্শ দেবেন। তাঁদের গঠনমূলক পরামর্শ নিয়ে যুব সম্প্রদায় এগিয়ে চলবে।” তাঁর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূলের আর কাউকে তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো পরিশ্রম করতে দেখেননি।
এদিকে অশোকনগরের বিধায়কের এই ‘সফ্টওয়্যার আপডেট’ তত্ত্ব নিয়ে মঙ্গলবার প্রশ্ন করা হয়েছিল তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকেও। তিনি অবশ্য এই নিয়ে বিশেষ কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কুণালবাবু বলেন, ফোন চালু রাখতে আপডেট করতে হয়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষ এও জানিয়েছেন, গোটা তৃণমূল এক ও ঐক্যবদ্ধ। দলে নবীন ও প্রবীণ উভয়েরই প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।