বারাসত: উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন ৭ জন। সেই ঘটনা নিয়ে ফের রাজনীতির পারদ চড়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে। এগরায় বিস্ফোরণের পর বাজি নিয়ে রাজ্যে উদ্যোগের পরেও কেন এই ঘটনা ঘটছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিরোধীরা এই বাজি কারখানার সঙ্গে তৃণমূলযোগের অভিযোগও এনেছে। এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিস্ফোরণে আহতদের দেখতে রবিবার দুপুরে বারাসত হাসপাতালে আসেন তিনি। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি যাঁরা মিথ্যা রটাচ্ছেন তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
বারাসত হাসপাতালে আহতদের সঙ্গে দেখা করার পর কাকলি বলেছেন, “পুলিশ নজরদারি রেখেছে। প্রশাসনের নিস্ক্রিয়তা নিয়ে যারা অপবাদ ছড়াচ্ছেন, মিথ্যা বলছেন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” অবৈধ বাজির কারবার রুখতে রাজ্য সরকারের বাজি ক্লাস্টার গড়ার কথাও রবিবার স্মরণ করিয়েছেন কাকলি। পুলিশ যে এ নিয়ে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে তাও জানিয়েছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, “পুলিশ নজর রেখেছে বলেই প্রচুর বাজি উদ্ধার হচ্ছে। এই পরিমাণ বাজি নষ্ট করতে ১১ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে।” দত্তপুকুরের বিস্ফোরণের ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার। কিন্তু এগুলিকে মিথ্যা দাবি বলেছেন তৃণমূল সাংসদ। এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগের জন্য আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।
কাকলির এই বক্তব্যকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা সম্পাদক কুন্দন সিং বলেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে এ রকম ঘটনা ঘটার পর নড়েচড়ে বসে পুলিশ। কিন্তু আগে থেকে কোনও পদক্ষেপ নেয় না। বেআইনি বাজির কারবার বন্ধ করতে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে না প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন এবং শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্বের মদত ছাড়া এ সব কাজ চালিয়ে যাওয়া যায় না। কিন্তু তৃণমূল নেতারা ঘটনা ঘটনার পর বড় বড় কথা বলছেন। কিন্তু ঘটনা যাতে না ঘটে তা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করে না।”