মধ্যমগ্রাম: দীর্ঘ পাঁচ বছর চাকরি করার পর আদালতের নির্দেশে সেই চাকরি খুইয়েছেন ৮৪২ জন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন মধ্যমগ্রাম এ পি সি বালিকা বিদ্যালয়ের হেড ক্লার্ক মিষ্টি ঘোষ। বর্তমানে যদিও বেপাত্তা তিনি। তবে মিষ্টির চাকরি হারানোর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনীতি। সোমবার স্কুলে পৌঁছয় এসএফআই। স্কুল চলাকালীন বিক্ষোভ করেন SFI কর্মীরা। মিষ্টি ঘোষ যাতে কোনওভাবেই স্কুলে প্রবেশ করতে না পারেন সেই আবেদন জানিয়ে প্রধান শিক্ষিকার কাছে স্মারকলিপি জমা দেন তাঁরা। সিপিএম-এর ছাত্র সংগঠনের দাবি, মিষ্টি ঘোষের এই চাকরির পিছনে রয়েছে তৃণমূল যোগ। পাশাপাশি ওই মহিলার বেশ কিছু ছবিও সামনে আনে তারা। সেই ছবিতে মিষ্টির সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বকে দেখা যায়। তার মধ্যে তৃণমূল কাউন্সিলর যেমন রয়েছেন তেমন ছিলেন পুর প্রধান নিমাই ঘোষ। এর থেকেই দুয়ে-দুয়ে চার করেছে এসএফআই।
এই বিষয়ে তৃণমূল মধ্যমগ্রাম পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ বলেন, “স্কুলের একটি অনুষ্ঠানে আমাদের আমন্ত্রণ করা হয়। সেইখানেই গিয়েছিলাম। এবার আমরা চেয়ারে বসে আছি। সেখানে কে মিষ্টি, কে টক বুঝব কীভাবে?” এসএফআই এক নেতা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার দুর্নীতি নিয়ে আন্দোলন করেছি। এই স্কুল থেকে বহু কৃতি ছাত্রী বেরিয়েছেন। সেখানে এই ধরনের মানুষ চাকরি করতেন। ওনাকে যাতে চাকরি করতে দেওয়া না হয় তাই আমরা বিক্ষোভ করছি।”
সূত্রের খবর, এপিসি বালিকা বিদ্যালয়ের হেড ক্লার্ক মিষ্টি ঘোষ ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই মেডিক্যাল ইস্যু দিয়ে ছুটিতে। চাকরি হারানোর নোটিশ আসার আগে থেকেই স্কুলে আসছেন না তিনি।
২০১৮ সালে এপিসি বালিকা বিদ্যালয়ে চাকরি পান মিষ্টি ঘোষ। ভুয়ো চাকরি বাতিল হওয়া মিষ্টি ঘোষের সঙ্গেই শাসকদলের একাধিক নেতা-নেত্রীর ছবি প্রকাশ্যে চলে আসে। যা ঘিরে রীতিমতো বিতর্ক দানা বাধে।