গাইঘাটা: ৭৩ বছরের পুরনো স্কুল। একসময় এলাকায় বেশ সুখ্যাতিও ছিল। কিন্তু, দিন যত গড়িয়েছে ততই যেন বেহাল দশা স্কুলের। দিনে দিনে কমছে ছাত্র সংখ্যা। প্রাক প্রাইমারি থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো হলেও পড়ুয়ার সংখ্যা কমতে কমতে এখন পঁয়ত্রিশে ঠেকেছে। শিক্ষক মাত্র ২ জন। তার মধ্যে একজন রয়েছেন ডেপুটেশনে। বাধ্য হয়ে একযোগে তিনটি শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াতে বাধ্য হচ্ছেন শিক্ষরা। ক্ষোভ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। উঠছে পড়াশোনার মান নিয়ে প্রশ্ন। চর্চায় উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা ব্লকের রামপুর আর পি বিদ্যালয়।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকদের অভাবে দীর্ঘদিন থেকেই ধুঁকছে স্কুলের পঠনপাঠন। কিন্তু, কোনও হেলদোল নেই প্রশাসনের। কিছুতেই নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ করা হচ্ছে না। এই অবস্থা কী করে তাঁদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন সেই প্রশ্ন তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন অভিভাবকেরা। ১৯৫১ সলে তৈরি হয়েছিল এই স্কুল। বর্তমানে স্কুলে গিয়ে দেখা গেল দুটি রুমে চলছে পঠনপাঠন। একটিতে দেখা গেল পিপি, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক পলাশ দেবনাথ। অন্য আরও একটি ঘরে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিচ্ছেন সদ্য আসা শিক্ষক প্রভা সাহা। তিনি শনিবারই স্কুলে যোগ দিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
এইভাবে ক্লাস করাতে যে অসুবিধা হচ্ছে তা মানছেন দুই শিক্ষক-শিক্ষিকাই। তাঁরাও চাইছেন আরও শিক্ষক নেওয়া হোক স্কুলে। অভিভাবকদের মতো তাঁরাও চাইছেন বিষয়টিতে নজর দিক প্রশাসন। অন্তত আরও ২ জন শিক্ষক আসুক। এ বিষয়ে গাইঘাটা চক্রের সর্বশিক্ষার কর্মী সীমা মজুমদার রায় বলছেন, তাঁরা এই স্কুলের সমস্যার জানেন। স্কুলের অসুবিধার কথা তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।