সুন্দরবন: ভোট আসলে নাকি দেখা যায় নেতাদের। তারপর আর এলাকায় আসেন না। দরকারে খোঁজ পাওয়াও যায় না। গুরুতর এমন অভিযোগ তুলে দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা। শুধু তাই নয়, ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপির দুই অঞ্চল সভাপতি সহ প্রায় একশো জন যোগ দিলেন তৃণমূলে।
দলত্যাগী ওই বিজেপি নেতারা হলেন তাপস কুমার ভূঁইয়া ও মৃত্যুঞ্জয় পাত্র। শনিবার এদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের সন্দেশখালি বিধানসভার আহ্বায়ক শেখ শাহজাহান, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো ও তৃণমূলের সন্দেশখালি ২নং ব্লক সভাপতি শিবপ্রসাদ হাজরা ও ন্যাজাট ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি জহরলাল মাহাতো সহ তৃণমূল নেতৃত্ব।
আজ যোগদানের পর সভা থেকে তাপস কুমার ভুঁইয়া ও মৃত্যুঞ্জয় পাত্র বলেন, “যখন ভোট আসে তখন বিজেপি নেতাদের দেখা যায়। সারা বছর আর খুঁজে পাওয়া যায় না।” তৃণমূল সরকারের একাধিক প্রশংসা করে তাঁদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সব রকম প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত বিভিন্ন প্রকল্প যেমন লক্ষ্মী ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, রুপোশ্রী, সবুজ সাথী ও স্বাস্থ্য সাথী সহ একাধিক প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন তাঁরা। সেই প্রকল্পের সুবিধা সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষ। তাই মানুষের উন্নয়নে শরিক হতে আমরা তৃণমূলে যোগদান করলাম।”
এ দিন,তৃণমূলের নির্বাচনী প্রচারসভা ছিল সেখানে মিছিল করে এসে বিজেপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা দলে দলে যোগদান করলেন। এই যোগদানের ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে আগে সন্দেশখালিতে শাসকদলের সংগঠন আরো শক্তিশালী হল বলে মত রাজনৈতিক মহলের।