খড়দহ: রাজ্যে একের পর এক বিস্ফোরণের ঘটনায় সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। এরই মধ্যে গতকাল বনগাঁয় বোমা ফেটে (Bomb Blast) মৃত্যু হয়েছে ১১ বছরের এক কিশোরের। শৌচাগারের সামনে রাখা বোমায় অসাবধানতা বশত পা লেগে যায় কিশোরের। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। বোমা ফেটে নাবালকের মৃত্যুতে বিরোধীরা আবারও সুর চড়াতে শুরু করেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। আর এরই মধ্যে রাজ্যের মন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের (Sovandeb Chatterjee) মন্তব্য নতুন করে অস্বস্তি বাড়াল রাজ্য সরকারের। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পুলিশকে আরও বেশি করে সতর্ক হওয়ার, আরও বেশি খবর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
গতকাল বনগাঁর বিস্ফোরণে কিশোরের মৃত্যুর পর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কোনও মৃত্যুই চাই না। আর এখানে তো বাচ্চা ছেলে মারা গিয়েছে। আমি মনে করি পুলিশ আরও অনেক বেশি সতর্ক হোক। অনেক বেশি এগিয়ে চলুক, খবর রাখুক। ইন্টেলিজেন্স আরও ভাল কাজ করুক। যাতে কোথায় এগুলি পাওয়া যাচ্ছে, কোথায় তৈরি হচ্ছে, এগুলি বিস্ফোরণের আগেই যাতে গ্রেফতার করা যায়। এই নিয়ে বলতে কোনও দ্বিধা নেই।’
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের এমন মন্তব্যকে অবশ্য পরিকল্পিত বিবৃতি হিসেবেই ব্যাখ্যা করছেন বঙ্গ বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। তাঁর বক্তব্য, ‘তৃণমূলের মধ্যে কেউ কেউ বিবেক হয়ে উঠতে চান। এটা প্রায়শই হয়। প্রতিনিয়ত বোমা ফেটে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল তৃণমূলকে খুন করছে। এখন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় পুরো বিষয়টি পুলিশের কাঁধে চাপাতে চাইছেন। পুলিশ বলে রাজ্যে কিছু নেই। আগে চোর-ডাকাতরা পুলিশকে দেখলে পালিয়ে যেত। এখন তাদের দেখলে পুলিশ টেবিলের তলায় ঢুকে পড়ছে।’
এদিকে বিষয়টি নিয়ে টিভি নাইন বাংলায় তৃণমূল মুখপাত্র মৃত্যুঞ্জয় পাল পাল্টা হাওড়ার বন্দুকধারীর মুঙ্গের থেকে পাকড়াও হওয়ার ইস্যুটিকে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। এর পাশাপাশি বোমা উদ্ধার যে বিজেপির একাংশের বাড়ি থেকে হয়েছে, সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, ‘২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ময়ূরেশ্বরে বিজেপি যুব মোর্চার নেতার বাড়ি থেকে একের পর এক বোমা উদ্ধার হয়েছে। বসিরহাটে এক মণ্ডল সভাপতির গাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।’