উত্তর ২৪ পরগনা: ডাব খেয়ে পুরো দাম না মেটানোর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। ডাব খেয়ে সঠিক দাম না দেওয়ার অভিযোগ এবং টাকা চাওয়ায় ডাব বিক্রেতাকে হুমকির অভিযোগে নাম জড়াল খড়দহ (Khardah) থানার এএসআই-এর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় বারবার নিজের আতঙ্কের কথা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরেছেন অভিযোগকারী ডাব বিক্রেতা। সোদপুর রাজা রোড এলাকায় বিটি রোডের ধারে বহু বছর ধরে ডাব বিক্রি করেন কার্তিক ঘরামি। তাঁর অভিযোগ, খড়দহ থানার অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পুলকেশ পাত্র দিন দু’য়েক আগে তাঁর কাছে ডাব কিনতে আসেন। এসেই দরাদরি শুরু করেন। অভিযোগ, ওই পুলিশ দাবি করেন, ১০ টাকায় বাজারে ডাব বিক্রি হয়। বিক্রেতা নিজের বক্তব্য তাঁকে বলেন। অভিযোগ, তাতেও কাজ হয়নি। রীতিমতো গাজোয়ারি শুরু করেন তিনি। এদিকে এই ঘটনার পর থেকে তাঁকে ওই জায়গা থেকে উঠে যাওয়ার জন্য বলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ।
ডাব বিক্রেতা কার্তিক ঘরামির কথায়, “খড়দহ থানার অফিসার পুলকেশ পাত্র দু’দিন আগে ডাব নিতে এসেছিলেন। আমাকে বলছেন দাম কত। বললাম, ৪০, ৫০। উনি পাল্টা বললেন, ১০ টাকা করে ডাব পাওয়া যায়। এরপর তিনটে ডাব নিয়ে ১০০ টাকা দিলেন। আমি বললামও এতে হবে না। এরপরই আমি যে ফ্ল্যাটের সামনে বসি, সেই ফ্ল্যাট থেকে বারবার বলা হচ্ছে আমাকে উঠে যেতে। আমি এখন খুব ভয়ে আছি। আজকে বলা হচ্ছে আমাকে তুলে নিয়ে যাবে। উনি বলছেন ১০ টাকায় ডাব পান। অথচ এই গরমে আমরা ডাবই পাচ্ছি না। ১০ টাকায় দেবো কোথা থেকে?”
যাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই পুলিশ আধিকারিকের কোনও বক্তব্য এখনও পাওয়া যায়নি। তা পেলেই এই প্রতিবেদনে যুক্ত করা হবে। খড়দহ থানার তরফেও কোনও মন্তব্য এখনও সামনে আসেনি। তবে স্থানীয় তৃণমূল নেতা দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “পুলিশের নামে অভিযোগ যখন, পুলিশ তদন্ত করে দেখবে। প্রশাসনিক বিষয় নিয়ে আমাদের তো কিছু বলার নেই।”
অন্যদিকে স্থানীয় বিজেপি নেতা কিশোর করের কথায়, “খড়দহ থানার একজন সাব ইন্সপেক্টর সোদপুরের এক ডাব বিক্রেতার সঙ্গে বচসায় জড়ায় ডাবের দাম নিয়ে। আমাদের সাফ কথা, আপনার দাম বেশি মনে হলে আপনি খাবেন না। কিনবেন না। কারও থেকে জিনিস নিলে বিক্রেতাকে তো টাকাটাও বুঝিয়ে দিতে হবে। তা না হলে তো দাদাগিরি হয়ে যায়। পুলিশের কাছ থেকে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। কারণ পুলিশ আমাদের রক্ষক। একজনও এমন করলে সকলের সম্পর্কে ধারণাটা বদলে যায়। এ ধরনের ঘটনা আগামিদিনে যাতে না ঘটে সেটাই বাঞ্ছনীয়।”