বারাসত: বৃষ্টি হলেই যেন আতঙ্ক! হাওড়ার পর এবার বারাসত। রাস্তায় জমা জলে মিলল মহিলার দেহ। ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বলেই মনে করছে পুলিশ। মৃতার নাম অঞ্জনা বিশ্বাস (৫৫)। শুক্রবার রাত ১০ নাগাদ অঞ্জনা বিশ্বাস নামে ওই মহিলা কাজ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন মুষলধারায় বৃষ্টি নেমেছে। সেই সময়ই এই ঘটনা ঘটে। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, হঠাৎ করে তাঁরা একটা বিকট শব্দ শুনতে পান। এলাকার লোকজন বেরিয়ে দেখেন, জলের মধ্যে পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। বিদ্যুতের তার দেখে তাঁদের বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়েই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বারাসতের দক্ষিণ নারায়ণ কোকো বাগান এলাকায়। ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে বারাসত থানার পুলিশ। জানা গিয়েছে, একটি বেসরকারি স্কুলে কাজ করেন ওই মহিলা। সেখান থেকে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে দক্ষিণ নারায়ণ কোকো বাগান এলাকা। ফেরার সময় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই এই ঘটনা ঘটে।
এলাকার লোকজন জলের মধ্যে এই মৃতদেহ দেখে খবর দেন বারাসত থানার পুলিশকে। বারাসাত থানার পুলিশ এবং বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এলাকায় বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে ওই মহিলাকে উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের চিকিৎসক ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই অভিযোগ উঠছে, বৃষ্টির মধ্যে কেন এভাবে বিদ্যুতের তার খোলা অবস্থায় পড়ে থাকে?
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
পুর প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ দফতরকে এই অভিযোগ জানিয়ে আসছেন, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে দেখা করতে ঘটনাস্থলে যান বারাসাত পুরসভার পুরপ্রধান অশনি মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি দুঃখজনক, বিদ্য়ুস্পৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।’ নজরদারি চালাবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন পুরপ্রধান। আপাতত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা গিয়ে ওই পোস্টে কাজ শুরু করেছেন।