Gaighata: এলোমেলো চুল, অবিন্যস্ত পোশাক, তা বলে মদ খেয়ে বন্ধ ঘরেই কি না দুই ভাই…, এমন ঘটনা কল্পনাও করেননি প্রতিবেশীরা

Dipankar Das | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 04, 2024 | 4:12 PM

North 24 Pargana: পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহে মাথার একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি অমৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অমৃত ঢালি বলেন, "দাদা দা নিয়ে মারতে গিয়েছিল আমায়। আমি তখন নিজেকে বাঁচাতে দরজার লাঠি দিয়ে ওকে মারি।"

Gaighata: এলোমেলো চুল, অবিন্যস্ত পোশাক, তা বলে মদ খেয়ে বন্ধ ঘরেই কি না দুই ভাই..., এমন ঘটনা কল্পনাও করেননি প্রতিবেশীরা
অমৃত ঢালি
Image Credit source: Tv9 Bangla

Follow Us

গাইঘাটা: প্রায়শই ঘরের ভিতর মদ নিয়ে বসেন দুই ভাই। আশপাশে যে সকল লোকজন থাকেন তাঁরাও জানান, মদ খেয়ে দু’জন মাঝে-মাঝেই বন্ধ ঘরে ঝামেলা করেন। রবিবারও তার অন্যথা হয়নি। দুই ভাই ঘর বন্ধ করে মদ্যপান করছিলেন। তবে সেই সময় এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যাবে কেউ হয়ত ভাবতেও পারেননি। বন্ধ ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার বড় ভাইয়ের মৃতদেহ। উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটা থানার বড়া কেষ্টনগর এলাকার ঘটনা।

মৃত ব্যক্তির নাম অংশুমান ঢালি (৪০)। সোমবার সকালে গাইঘাটা থানার পুলিশ সেই মৃতদেহ উদ্ধার করে। ছোট ভাই অমৃত ঢালির বক্তব্য, রবিবার বাড়িতেই মদ্যপানে বসেন অংশুমান ঢালি ও অমৃত। রাত্রে তাঁদের মধ্যে ঝামেলা হচ্ছিল। অমৃতের দাবি, সেই সময় দাদা তাঁর উপর দা নিয়ে চড়াও হয়। পাল্টা তখন তিনি ঘরের দরজা বন্ধ করার কাঠ নিয়ে প্রতিরোধ করতে যান। সেই সময় তাঁর দাদার মাথায় আঘাত লাগে। সেই আঘাত গুরুতর না হওয়ায় অংশুমানকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। এরপর তাঁরা যে যার মতো ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে অংশুমানকে তাঁর ঘরে ডাকতে যান অমৃত। তখন তিনি দেখেন, মৃত অবস্থায় খাটে পড়ে রয়েছেন অংশুমান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গাইঘাটা থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। আটক করা হয়েছে ভাই অমৃতকে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দুই ভাই মাঝে-মাঝেই প্রচুর পরিমাণ মদ্যপান করে। মদ্যপ অবস্থায় প্রায়ই নিজেদের মধ্যে অশান্তি করত। প্রতিবেশীরা কিছু বলতে গেলে তাদেরও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করত।

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদেহে মাথার একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ এখনো পরিষ্কার নয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি অমৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এখনো পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। অমৃত ঢালি বলেন, “দাদা দা নিয়ে মারতে গিয়েছিল আমায়। আমি তখন নিজেকে বাঁচাতে দরজার লাঠি দিয়ে ওকে মারি। আঘাত লাগে। তবে ও ভালই ছিল। সকালবেলা দেখি মুখ থেকে গ্যাঁজা উঠে গেছে।”

Next Article
ICDS: শিশুদের খাবার বাড়ির গরু-ছাগলদের খাইয়ে দেন দিদিমণি! অভিযোগ, ডিম পর্যন্ত ‘চুরি’ করেন
Mid Day Meal: এবার মিড ডে মিলে টিকটিকি, ১৪ শিশুকে পর্যবেক্ষণে রাখলেন চিকিৎসকরা