উত্তর ২৪ পরগনা: রাজ্যে (West Bengal) একের পর এক চিকিৎসকের প্রাণ কাড়ছে করোনা (Covid 19)। এবার এই অতিমারির বলি হলেন রাজ্যের আরেক চিকিৎসক (Doctor)। মৃত চিকিৎসকের নাম অনাদিনাথ বিশ্বাস। তিনি আইএমএ টিটাগড় শাখার সভাপতি ছিলেন। একই সঙ্গে আইএএম রাজ্য শাখার প্রাক্তন সভাপতিও ছিলেন অনাদিবাবু। রবিবার দুপুরে টেকনোগ্লোবাল কোভিড হাসপাতাল মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
মৃত্যুকালে ৭১ বছর বয়স হয়েছিল অনাদিবাবুর। গত ২৮ অক্টোবর শ্বাসকষ্ট এবং হালকা জ্বরের উপসর্গ নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। টেস্ট করালে করোনা রিপোর্ট আসে পজেটিভ। এরপর সিটি স্ক্যান করে দেখা যায়, ডাক্তারবাবুর ফুসফুস ৬০ শতাংশই ক্ষতিগ্রস্ত। রিপোর্ট দেখেই উদ্বেগ বাড়ে চিকিৎসকদের। ভেন্টিলেশনে রেখে প্রয়োগ করা হয় ন্যাসাল ক্যানুলা। এরপর দেওয়া এনআরবিএম। তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি না হলে হাইফ্লো ন্যাসাল ক্যানুলা প্রয়োগ করেন চিকিৎসকেরা। এতে শারীরিক অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হলে তাঁকে ভেন্টিলেশন থেকে বের করে আনা হয়।
যদিও মাঝে মধ্যেই অক্সিজেন দিতে হচ্ছিল তাঁকে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা তো ছিলই। নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে আইসিইউতে শিফট করা হয় অনাদিবাবুকে। গত ৩ ডিসেম্বর কোভিড টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভও আসে। কিন্তু দীর্ঘ এক মাসের বেশি লড়াই শেষ হয় আজ, ৬ ডিসেম্বর। এদিন দুপুর ১২ টা নাগাদ তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এই নিয়ে গত এক সপ্তাহে কোভিডের কবলে রাজ্যের ৪ চিকিৎসক প্রাণ হারালেন। দু’দিন আগেই করোনা আক্রান্ত হয়ে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষা হাসি দাসগুপ্ত মারা যান। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই দিনে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ-এর চিকিৎসক রমেন হাজরার মৃত্যু হয়। তিনি করোনা চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে এলেও অসুস্থ ছিলেন। একই দিনে মারা যান জলপাইগুড়ি চিকিৎসক মৃণাল কান্তি আচার্যও।