দুর্গাপুর: এলপিজি গ্যাসের সঙ্গে বায়োমেট্রিক করতে এক পয়সাও খরচ নেই। অথচ গত কয়েকদিনে রাজ্যের একাধিক জায়গায় অসাধু চক্র মাথা চাড়া দিয়েছে। লিঙ্ক করার নামে কোথাও গ্রাহকের কাছ থেকে ২০০, কোথাও ৪০০ এমনকী কোথাও ৬০০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল। এবার টাকা নিয়ে গ্যাসের বায়োমেট্রিক করার অভিযোগে ২ জনকে আটক করা হল।
ভর্তুকি পেতে গ্যাস সিলিন্ডারের সঙ্গে আধারের সংযুক্তিকরণের কাজ চলছে। এর জন্য ডিসেম্বর জুড়ে গ্যাসের দোকানগুলিতে লম্বা লাইন। বছরের শেষ মাসে মানুষ একেবারে নাজেহাল এই লিঙ্ক করাতে গিয়ে। এরইমধ্যে আবার একাধিক গ্যাস ডিলার এই লিঙ্কের কাজ করাতে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ।
দুর্গাপুরের অন্ডালের উখড়ার নতুন হাটতলা। অভিযোগ, এখানে আবার বেশ কয়েকজন এই লিঙ্ক ররিয়ে দেওয়ার নাম করে কানেকশন পিছু ৪০ টাকা করে নিচ্ছিলেন। অথচ এই বায়োমেট্রিকের জন্য কোনও টাকা নেওয়া হবে না বলেই সরকারি নির্দেশ। এরপরও কেন এই টাকা নেওয়া হচ্ছে প্রশ্ন তুলে হইচই শুরু করেন গ্রাহকরা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় অন্ডাল থানার পুলিশ। পুলিশ সংযুক্তিকরণের যন্ত্র-সহ বিশ্বজিৎ মাজি ও নির্মলকুমার ঠাকুর নামে দু’জনকে আটক করে। উখড়া গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান মিনা কোলেও যান ঘটনাস্থলে। প্রধানের বক্তব্য, টাকা নেওয়ার কোনও জায়গাই নেই। কীভাবে এখানে টাকা নেওয়া হচ্ছে তা দেখা দরকার। পুলিশ সবটা দেখছে বলে জানান তিনি।