Asansol: স্বামী খুনের দায়ে জেলে, চার বছর পর ছোট্ট মেয়েকে জেলে দেখেই জড়িয়ে ধরল, আর তারপরই…
Asansol: আধিকারিকদের দাবি, যখন এই মেয়েটি তার মায়ের সাথে দেখা করেছিল, তখন মা এবং মেয়ে দুজনেই অঝোরে কাঁদছিল। শুক্রবার অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকলো আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার।

আসানসোল: জেলে বন্দি নিজের মায়ের সঙ্গে দেখা চার বছর পর। জেলে বন্দি মায়ের সঙ্গে দেখা সাত বছরের কন্যার। সে এতটাই ছোট যে সে মনেও করতে পারে না যে সে শেষবার কখন তার মায়ের সাথে দেখা করেছিল। তার মায়ের মুখও মনে নেই তবে সে তার ঠাকুমার সঙ্গে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছে। ঠাকুমা আসানসোলের সালানপুরের বাসিন্দা নেহালি পাতর। তিনি বলেন, “ভালো লাগছে, আবার খারাপও লাগছে। ছেলেকে খুন করে বৌমা জেলে রয়েছে। ছোট নাতনিকে মানুষ করছি। বৌমাকে দেখে মায়া লাগছে। তিন বছর পর দেখা হল। বৌমা ওকে (নাতনিকে) জড়িয়ে ধরল। মায়ের মন তো! জড়িয়ে ধরে কাঁদছিল।”
শাশুড়ির বয়স আশি পেরিয়েছে। ছেলেকে খুন করেছে বৌমা, মনকে বুঝিয়ে শক্ত করে বৌমার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। এখনও সংসার ঠেলে চলেছেন, কারণ নাতনির দায়িত্ব পুরোটাই তাঁর কাঁধে।
আধিকারিকদের দাবি, যখন এই মেয়েটি তার মায়ের সাথে দেখা করেছিল, তখন মা এবং মেয়ে দুজনেই অঝোরে কাঁদছিল। শুক্রবার অভিনব ঘটনার সাক্ষী থাকল আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার।
‘ইন্টারন্যাশনাল ফ্যামিলি ডে’ অর্থাৎ ‘আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস’ পালিত হল শুক্রবার। সেই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসকে সামনে রেখে আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগার (জেল) বা স্পেশ্যাল কারেকশনাল হোমে এক অভিনব উদ্যোগ বা মানবিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসন ও আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের সাহায্যে পশ্চিম বর্ধমান ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটি এই মানবিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।





