Asansol: ঝাপসা আধার কার্ডের জেরক্স দেখিয়ে ক্ষেতের মাঝে ঘরভাড়া! সেখানেই বসে বাংলায় ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর অপরাধের ছক কষেছেন ডাকাতসর্দার চাচী!

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: শর্মিষ্ঠা চক্রবর্তী

Jul 11, 2024 | 5:30 PM

Asansol: গত তিনমাস ধরে মহিলা ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। ওই মহিলার সঙ্গে আরও কয়েকজনও ছিল। তিনমাস ওঁরা ভাড়া ছিলেন। পাথর লোডিং আনলোডিংয়ের কাজ করতে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ব্যবসা তাঁরা আরও বাড়াবেন। একটা ট্রাক্টর কেনা হবে। এলাকায় চাষবাস করা হবে।

Asansol: ঝাপসা আধার কার্ডের জেরক্স দেখিয়ে ক্ষেতের মাঝে ঘরভাড়া! সেখানেই বসে বাংলায় ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর অপরাধের ছক কষেছেন ডাকাতসর্দার চাচী!
কে এই চাচী?
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আসানসোল: ডোমজুড় ডাকাতির ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আশাদেবী ওরফে ‘চাচী’র। বিহারের সমস্তিপুর থেকে আনা হয়েছে তাঁকে। তবে ওই ডাকাতির আগে আসানসোলে তিনমাস বাড়ি ভাড়া নিয়ে ছিল এই চাচী। তাঁর পরিচয় জেনে স্তম্ভিত পুলিশ।

আসানসোলের হীরাপুর থানা এলাকার মহিশীলা ৩ নম্বর কলোনির চাষি পাড়ার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতো হাওড়ার ডোমজুড় ডাকাতি কাণ্ডে ধৃত ওই মহিলা। চারদিকে জমি আর সবজি ক্ষেত। লোকালয় থেকে দূরে কার্যত পাণ্ডব-বর্জিত এলাকায় ওই বাড়িটি। খবর পাওয়ার পর অবাক বাড়ির মালিক ঋষিকেশ সাহা। চাচী ডাকাত সর্দার জানার পর আতঙ্কিত ঋষিকেশ।

তিনি জানান, গত তিনমাস ধরে মহিলা ভাড়া বাড়িতে ছিলেন। ওই মহিলার সঙ্গে আরও কয়েকজনও ছিল। তিনমাস ওঁরা ভাড়া ছিলেন। পাথর লোডিং আনলোডিংয়ের কাজ করতে এসেছে বলে জানিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন, ব্যবসা তাঁরা আরও বাড়াবেন। একটা ট্রাক্টর কেনা হবে। এলাকায় চাষবাস করা হবে।

প্রথমে অস্পষ্ট কালি মাখা আধার কার্ডের জেরক্স জমা দিয়েছিল আশাদেবী। অন্য জেরক্স চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু ‘দিচ্ছি দেবো’ করে আর দেননি। বাড়ি মালিক জানিয়েছেন একজন বয়স্ক লোক ও ওই মহিলা ওই বাড়িতে ছিলেন। মাঝে মাঝে কম বয়সী কিছু ছেলে মেয়ে আসতো। ঋষিকেশ বলেন,  “অসুস্থতার কারণে চেন্নাই চলে গেছিলাম। ফিরে এসে দেখি হঠাৎ করই ওরা ঘর ছেড়ে চলে গেছে। তখন থেকে ঘরে তালা পড়ে আছে। নতুন ভাড়াটিয়া কেউ আসেনি।তবে আমারও সন্দেহ হয়েছিল ওরকম পান্ডব বর্জিত জায়গায় কেন ঘর ভাড়া নিচ্ছে ওরা? এই এলাকায় চাষবাস করে বাহাদুর নামে এক ব্যক্তি। তিনিই বলেছিলেন দূর সম্পর্কে ওই মহিলা আত্মীয় হয়। তাই বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলাম।এখন এখন জানতে পারছি এই ঘটনা। আতঙ্কিত।” ডোমজুড় সোনার দোকান ডাকাতির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিহার পুলিশের এসটিএফ এবং হাওড়া সিটি পুলিশের গোয়েন্দাদের হাতে এখনও পর্যন্ত এক মহিলা সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই মহিলাই হলেন চাচী।

Next Article