আসানসোল: ক্লাস সেভেনে পড়ে। ছোট্ট খাট্টো একটা মেয়ে! কিন্তু কথায় যেন পটাকা! আসানসোলের জামুড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকার আদিবাসী এক মেয়ে। নাম বিশাখা বাউড়ি। ভোটের আগের রাতেই বোমা ফাটাল এই মেয়ে। রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে পোলিং অফিসারদের সামনেই দাঁড়িয়ে বলল, “আরে থেকেই দেখো, বোঝো আমরা কেমনে থাকি…” ভোটের আগের দিনই তালা ঝুলল জামুড়িয়ার তপসী পঞ্চায়েতের যানবাজার আদিবাসী গ্রামে অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে! ঢুকতে পারলেনই না সরকারি আধিকারিকরা।
অভিযোগ, বিগত ৩০ বছর ধরে আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামে একাধিক সমস্যা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদ্যুতের লাইন। আলোই থাকে, সূর্য ডুবলেই অন্ধকার। পড়াশোনাও করতে পারে না গ্রামের বাচ্চারা। রাজ্য সরকারের কোন বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি গ্রামে। কিন্তু অভিযোগ, ভোট এলেই একাধিক প্রতিশ্রুতি।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ইসিএলের বিদ্যুৎ ছিল তাও দীর্ঘদিন ধরে তা একেবারে লো ভোল্টেজ। অভিযোগ, সরকারি আধিকারিদের কাছে আবেদন করে কোন কাজ হয়নি। গরমে অন্ধকারেই তাঁদের দিন কাটে। কিন্তু তাঁরা ভোট বয়কট করবেন না। তাঁরা চান, ভোট হোক নিয়ম মেনে। সরকারি আধিকারিকরা একদিনের জন্য হলেও এই কষ্টটা উপলব্ধি করুন। যেন তাঁদের বার্তা উপরমহলে পৌঁছয়। এক গ্রামবাসী বলেন, “এ আমাদের আজকের সমস্যা নয়। বিদ্যুতের লাইনের জন্যই আমাদের লাইন। এবার ওরা তো অন্ধকারে থেকে বুঝুক, অন্ধকারে থাকতে কেমন লাগে! আমাদের কী সমস্যা সেটা মুখে বলে তো বোঝাতে পারলাম না।” বিশাখা বাউড়ি নামে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রীতিমতো বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সে বলল, “আমরা কোনও অফিসারের কথা শুনব না। এরকম অন্ধকারে থেকে দেখুক, কেমন লাগে। আমাদের একটাই কথা, লাইন লাগবে তো লাগবেই, ব্যস!”
পোলিং অফিসাররা জানবাজারে ওই বুথে পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে, পোলিং অফিসারদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বচসা হয়। পুলিশও ঢুকতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরেই তালা ঝুলে থাকে যানবাজার আদিবাসী গ্রামের বুথে। জামুড়িয়া বিডিওকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর বক্তব্য, “আমি সংবাদমাধ্য়মকে কিছু বলব না।”
আসানসোল: ক্লাস সেভেনে পড়ে। ছোট্ট খাট্টো একটা মেয়ে! কিন্তু কথায় যেন পটাকা! আসানসোলের জামুড়িয়ার প্রত্যন্ত এলাকার আদিবাসী এক মেয়ে। নাম বিশাখা বাউড়ি। ভোটের আগের রাতেই বোমা ফাটাল এই মেয়ে। রীতিমতো আঙুল উঁচিয়ে পোলিং অফিসারদের সামনেই দাঁড়িয়ে বলল, “আরে থেকেই দেখো, বোঝো আমরা কেমনে থাকি…” ভোটের আগের দিনই তালা ঝুলল জামুড়িয়ার তপসী পঞ্চায়েতের যানবাজার আদিবাসী গ্রামে অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে! ঢুকতে পারলেনই না সরকারি আধিকারিকরা।
অভিযোগ, বিগত ৩০ বছর ধরে আদিবাসী অধ্যুষিত এই গ্রামে একাধিক সমস্যা। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় সমস্যা বিদ্যুতের লাইন। আলোই থাকে, সূর্য ডুবলেই অন্ধকার। পড়াশোনাও করতে পারে না গ্রামের বাচ্চারা। রাজ্য সরকারের কোন বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি গ্রামে। কিন্তু অভিযোগ, ভোট এলেই একাধিক প্রতিশ্রুতি।
গ্রামবাসীরা জানাচ্ছেন, ইসিএলের বিদ্যুৎ ছিল তাও দীর্ঘদিন ধরে তা একেবারে লো ভোল্টেজ। অভিযোগ, সরকারি আধিকারিদের কাছে আবেদন করে কোন কাজ হয়নি। গরমে অন্ধকারেই তাঁদের দিন কাটে। কিন্তু তাঁরা ভোট বয়কট করবেন না। তাঁরা চান, ভোট হোক নিয়ম মেনে। সরকারি আধিকারিকরা একদিনের জন্য হলেও এই কষ্টটা উপলব্ধি করুন। যেন তাঁদের বার্তা উপরমহলে পৌঁছয়। এক গ্রামবাসী বলেন, “এ আমাদের আজকের সমস্যা নয়। বিদ্যুতের লাইনের জন্যই আমাদের লাইন। এবার ওরা তো অন্ধকারে থেকে বুঝুক, অন্ধকারে থাকতে কেমন লাগে! আমাদের কী সমস্যা সেটা মুখে বলে তো বোঝাতে পারলাম না।” বিশাখা বাউড়ি নামে এক সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী রীতিমতো বিক্ষোভে নেতৃত্ব দিচ্ছিল। সে বলল, “আমরা কোনও অফিসারের কথা শুনব না। এরকম অন্ধকারে থেকে দেখুক, কেমন লাগে। আমাদের একটাই কথা, লাইন লাগবে তো লাগবেই, ব্যস!”
পোলিং অফিসাররা জানবাজারে ওই বুথে পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে, পোলিং অফিসারদের সঙ্গে গ্রামবাসীদের বচসা হয়। পুলিশও ঢুকতে পারেনি। দীর্ঘদিন ধরেই তালা ঝুলে থাকে যানবাজার আদিবাসী গ্রামের বুথে। জামুড়িয়া বিডিওকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে তাঁর বক্তব্য, “আমি সংবাদমাধ্য়মকে কিছু বলব না।”