দুর্গাপুর: জেলায় জেলায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বদল হয়েছে। আর সাংগঠনিক বদল মানেই কিছুটা উষ্মা, কিছুটা বিরোধিতা দলের অন্দর থেকেই আসবে। সে যে রাজনৈতিক দলই হোক না কেন। তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়ে এবার একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য ইস্তফা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের প্রতাপপুর গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান-সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল সদস্য ইস্তফা দেবেন বলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি লেখেন বলে খবর। আর এই ঘটনায় দলের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন সদ্য প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, দুর্গাপুর ফরিদপুরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে ফিরিয়ে আনতে চেয়ে দলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকে চিঠি দেন ১৩ জন। সকলেই প্রতাপপুর গ্রামপঞ্চায়েতের সদস্য। ওই ১৩ জনের দাবি, সুজিত মুখোপাধ্যায়কে ব্লক সভাপতি পদে না ফেরালে তাঁরাও পদ ছাড়বেন।
প্রতাপপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান মাধব দে বলেন, “২০১১ সালের পর থেকে সুজিত মুখোপাধ্যায় সংগঠনের সঙ্গে জুড়ে। এখন তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। আমরা তাই বিধায়কের কাছে গিয়েছিলাম। ওনাকে বলেছি সুজিত মুখোপাধ্যায়কে না ফেরালে লোকসভার ফলটাও ঘুরে যাবে। ৩ জন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, প্রধান উপপ্রধান-সহ ১৬ জন পঞ্চায়েত সদস্য চিঠি দিয়ে এসেছি।”
সম্প্রতি দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের সভাপতি পদে বসানো হয়েছে শতদীপ ঘটককে। এরপর সুজিত মুখোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কেন তাঁকে পদ থেকে সরানো হল তার কোনও কারণও স্পষ্ট নয়। তবে এসব ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, সুজিত মুখোপাধ্যায়কে জেলার অন্যতম সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।
এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, “আসলে সুজিত একটু বেশিই জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। নরেনের জন্য চাপ হয়ে যাচ্ছিল। অথচ এই নরেনকে জেতাতে সুজিত কী না করেছে।”