আসানসোল: কয়লা চুরি বন্ধ করতে এবার আরও কড়া নজরদারির ব্যবস্থা করছে ইসিএল। আরও জোর দেওয়া হচ্ছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উপর। ড্রোন ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থার তরফে। খোলামুখ খনি চত্বরে ও ভূগর্ভস্থ খনির ডাম্পিং গ্রাউন্ড এলাকার চার পাশে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। একইসঙ্গে অবৈধভাবে কয়লা খনন রুখতে এবার ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহারেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত এই কড়া নজরদারির সিদ্ধান্তের কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন ইসিএল-এর সিএমডি সমীরণ দত্ত।
খনি এলাকায় একটি অন্যতম মাথাব্যথার কারণ হল অবৈধভাবে কয়লা খনন। কখনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের নজরদারির ফলে, কখনও আবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে কয়লা চোরেরা। কখনও আবার ধরা পড়ার ভয়ে লুঠ করা কয়লা মাঝরাস্তাতেই ফেলে পালিয়েছে। তবে এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে আরও ঢেলে সাজানো হচ্ছে খনি এলাকায়। এবার ড্রোনের মাধ্যমে চালানো হবে নজরদারি। আর এর ফলে অবৈধভাবে কয়লা খনন বন্ধ করা যাবে বলেই মনে করছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। কোথাও কেউ অবৈধভাবে কয়লা খনন করতে সুরঙ্গ করলেই তা ধরা পড়ে যাবে ইসিএল-এর নজরদারির ড্রোন ক্য়ামেরায়।
তবে এই ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালাতে গেলে বেশ কিছু ক্ষেত্রে ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। আপাতত ড্রোন নজরদারির জন্য বেশ কিছু জায়গাকে বেছে নেওয়া হলেও, সেগুলির প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র পেতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। তাই আপাতত দ্রুততার সঙ্গে খনির চার পাশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে বলে জানা যাচ্ছে। সংস্থার তরফে এও জানানো হয়েছে, ইতিমধ্যেই বেশ কিছু খনিতে পরীক্ষামূলকভাবে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। তাতে বেশ আশানুরূপ ফলও মিলেছে। আগামী দিনে সব খনিতেই এই ধরনের পদক্ষেপ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, এর আগে বিভিন্ন কয়লা বোঝাই ডাম্পারগুলিতে জিপিআরএস ব্যবস্থা চালু করেছিল ইসিএল কর্তৃপক্ষ এবং তাতে যথেষ্ট ভাল কাজও হয়েছে।