দুর্গাপুর: কিছুদিন আগেই দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরে এক নার্সিং পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যে ঘরে সে থাকত সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছিল তাঁর ঝুলন্ত দেহ। খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে শুরু হয়েছিল চাপানউতোর। এরইমধ্যে এবার যেন একই ঘটনার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া গেল বেঙ্গালুরুতে। তবে সেখানেও বাংলা যোগ। দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর থেকে বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়তে গিয়েছিলেন বছর একুশের দিয়া মণ্ডল। কিন্তু, যেখানে তিনি থাকতেন সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ। বাড়িতে খবর আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার সকালে বেঙ্গুলুরুর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ছেন দিয়ার মা-বাবা। কাঁকসার গোপালপুর উত্তরপাড়া সত্যনারায়ণ পল্লীর বাসিন্দা দেবাশিস মণ্ডল। রান্নার কাজ করে সংসার চালান। তাঁর একমাত্র মেয়ে ছিল দিয়া। সামান্য উপার্জিত অর্থ দিয়ে কোনওরকমে মেয়ে পড়তে পাঠিয়েছিলেন দেবাশিস। স্নাতক পাস করার পর বেঙ্গালুরুতে যান নার্সিং পড়তে। চোখে স্বপ্ন। ইচ্ছা চাকরি পেয়ে বাবার পাশে দাঁড়াবে। মেয়ে। কিন্তু কে জানত সেই বেঙ্গালুরু থেকেই ফিরবে দিয়ার নিথর দেহ।
রোজকার মতো শুক্রবার সন্ধ্যাতেও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিল দিয়া। তখনও সব স্বাভাবিকই ছিল বলে জানা যাচ্ছে। কিছু সময়ের মধ্যেই রাত ৮টা নাগাদ দিয়ার এক সহপাঠী দিয়ার বাড়িতে ফোন করে জানায় দিয়া আর নেই। আত্মহত্যা করেছে। শুনেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পরিবারের সদস্যদের। তবে সকলেই বলছেন আত্মহত্যা করার মেয়ে নয় দিয়া। তারপরেও এ ঘটনা ঘটল কী করে? বাড়ছে ধোঁয়াশা। দিয়ার মামা জগন্নাথ রায় জানিয়েছেন, দিয়ার পরিবার খুবই ভাল। দিয়া নিজেও ভীষনই ভাল মেয়ে ছিল। পড়াশোনাতেও ছোট থেকেই মেধাবী। কিন্তু থেকে কী হয়ে গেল তা বুঝতে পারছেন না তিনিও। বেঙ্গালুরুতে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে বলে জানা গিয়েছে পরিবার সূত্রে।
#WATCH: দুর্গাপুরের কাঁকসার গোপালপুর থেকে বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়তে গিয়েছিলেন বছর একুশের দিয়া মণ্ডল। কিন্তু, যেখানে তিনি থাকতেন সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে তাঁর মৃতদেহ।
সব খবর: https://t.co/uucMX98T3A#Kanksa | #DeathNews | @WBPolice | #Bengaluru | #Durgapur pic.twitter.com/8pkETUseTe
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) July 7, 2024