আসানসোল: হাইজ্যাক করা হয়েছিল ট্রাক। লুকিয়ে রাখা হয়েছিল কোলিয়ারির কাছে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হল না। উদ্ধার করা হল ট্রাক। গ্রেফতার দুষ্কৃতীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে। বুধবার কল্যানেশ্বরী শিল্পতালুকে লোহার সামগ্রী নামিয়ে বিহারে ফিরে যাচ্ছিল একটি ট্রাক। পথেই সেটিকে হাইজ্যাক করে ৫ দুষ্কৃতী। নামিয়ে দেওয়া হয় ড্রাইভার-খালাসিকে। তারপর ট্রাক নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খবর যায় পুলিশে।
খবর পাওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অ্যাকশনে নামে আসানসোল উত্তর থানার পুলিশ। চলে খোঁজ। শেষ পর্যন্ত সাফল্য পান তদন্তকারীরা। ছিনতাইকারীদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই খোঁজ মেলে ট্রাকটির। পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার কল্যানেশ্বরী শিল্প তালুকে মালপত্র নামিয়ে ট্রাকটি পৌঁছায় ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের চৌরঙ্গী মোড়ে। ঠিক রাস্তার পাশে ট্রাকটিকে রেখে দুপুরে খেতে যান চালক অলক কুমার এবং খালাসি। অভিযোগ, ঠিক সেই সময়ই তাঁদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। বেধড়ক মারধর করা হয় চালক-খালাসিকে। একেবারে সিনেমার কায়দায় ভয় দেখানো শুরু হয় চালককে। স্পষ্ট বলা হয় আসানসোলের দিকে নিয়ে যেতে হবে ট্রাকটিকে।
সূত্রের খবর, ট্রাকটি যখন আসানসোল উত্তর থানা এলাকার জুবলি ব্রিজের কাছে পৌঁছায় তখন ফের মারধর করা হয় চালক-খালাসিকে। নামিয়েও দেওয়া হয় ট্রাক থেকে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতভম্ভ হয়ে যান দু’জনেই। সোজা চলে যান আসানসোল উত্তর থানায়। থানায় সবটা খুলে বলতেই মাঠে নামে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ট্রাকটি নিয়ে দুষ্কৃতীরা ভানোড়া কোলিয়ারি এলাকায় লুকিয়ে রেখেছে। দ্রুত পুলিশের একটি দল সেখানে পৌঁছে ট্রাকটিকে উদ্ধার করে। ট্রাক হাইজ্যাকের ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে শেখ আরমান, শেখ মোশারফ এবং শেখ নঈম নামে তিনজনকে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ট্রাকটিকে পানাগড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। সেখানে কাটাই বা কাটিং করে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করতো দুষ্কৃতীরা।