পশ্চিম বর্ধমান: বামেদের ৪৪ বছরের গড় জামুড়িয়া (Jamuria)। রাজ্যজুড়ে যখন তৃণমূলের ঝোড়ো হাওয়ায় একের পর এক বাম দুর্গের পতন হচ্ছে, তখনও ঠায় দাঁড়িয়েছিল এই লাল দুর্গ। এবারও আসনটিতে জয় হবে সেই বিশ্বাস রেখেই তরুণ তুর্কি ঐশী ঘোষকে প্রার্থী করেছিল সংযুক্ত মোর্চা। ধরেই নিয়েছিল, যে মেয়ে অনায়াসে দেশের প্রথম সারির শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লড়াই করে জয় ছিনিয়ে আনতে পারে, তার কাছে ঘরের এই আসন জেতা কোনও ব্যাপারই না। কিন্তু মুখ রক্ষা হল না। ঘাসফুলের দাপটেই পিছু হঠতে হল ঐশীকে। শুধু হারই নয়, তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গেলেন তিনি।
একুশের নির্বাচনে সংযুক্ত মোর্চার তরফে নজর কেড়েছেন তরুণ বাম প্রার্থীরা। দীপ্সিতা ধর, সৃজন ভট্টাচার্যদের মত এই তালিকায় ছিলেন ঐশী ঘোষ, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়রা। তাজা মুখগুলিতে ভরসা রেখেই হয়ত অক্সিজেন খুঁজেছিল ধুঁকতে থাকা বামেরা। তবে ভোটের বাজারে বামেদের জন্য অক্সিজেন অমিল। সকলেই হেরেছেন। হেরেছেন ঐশীও।
আরও পড়ুন: ‘কোথায় ভুল হল!’, বঙ্গে গেরুয়া ঝড়ের পথে বাধা হল যে কারণগুলি
তৃণমূল প্রার্থী হরেরাম সিং ৬৭০১৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন জামুড়িয়ায়। এরপরই রয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির তাপস কুমার রায়। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৯৪২৭। ঐশীর সেখানে পেয়েছেন ২৩৩১৭টি ভোট। যদিও এই হার প্রসঙ্গে ঐশীর দাবি, মেরুকরণের রাজনীতি হয়েছে। একইসঙ্গে তৃণমূলের ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাকের নাম না করেই তিনি বলেন, “৫০০ কোটি টাকার কর্পোরেট সংস্থা নেমেছিল তৃণমূলের হয়ে। তবে ভুললে চলবে না বামেরা লড়াই করে মাঠে ময়দানে নেমে।”
জেএনইউ ছাত্র আন্দোলন থেকে খবরের শিরোনামে আসেন ঐশী। ছাত্র রাজনীতি থেকে এই প্রথম সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে পদক্ষেপ তাঁর। এই প্রথম প্রার্থী হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে লড়লেন। এর আগে সিপিএমের জাহানারা খাতুন এখানে বিধায়ক ছিলেন। অবশ্য ভোটে হারলেও ময়দান ছাড়ছেন না ঐশী। জানালেন, জনপ্রতিনিধি না হলেও রেড ভলান্টিয়ার হয়ে করোনা আবহে মাঠেই থাকবেন তিনি।