আসানসোল: ফের রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাতের আবহ। কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে রাজ্যপালকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এদিকে এই সমাবর্তন নিয়েই আপত্তি জানিয়ে চিঠি দিয়েছে উচ্চশিক্ষা দফতর বলে খবর। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তে অনড়।
আগামী ২৭ মার্চ আসানসোল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর এই সমাবর্তনে উপস্থিত থাকার কথা রাজ্যপাল তথা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের। তারই প্রস্তুতি চলছে। এরইমধ্যে শুক্রবার শিক্ষা দফতর থেকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়, যেহেতু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও স্থায়ী উপাচার্য নেই, তাঁর নিয়োগ নিয়েও বিতর্ক রয়েছে, তাই এই সমাবর্তন না হওয়াই ভাল।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালের নির্দেশে উপাচার্য নিয়োগ হয়। উপাচার্যদের দায়িত্ব দেন আচার্য তথা রাজ্যপাল। তালিকায় ছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য হিসাবে যোগ দেন।
সমাবর্তন নিয়ে উপাচার্য দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, প্রায় ৬ বছর পর এই সমাবর্তন হতে চলেছে। ছাত্রছাত্রীদের আবেগের কথা মাথায় রেখে এটা হচ্ছে। রাজ্যপাল তথা আচার্যের নির্দেশেই আয়োজন হয়েছে। সুতরাং সেখান থেকে পিছিয়ে আসার কোনও প্রশ্নই নেই।
একদিকে রাজ্য শিক্ষা দফতরের চিঠিতে আপত্তি, অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সমাবর্তন নিয়ে উৎসাহ, বিতর্ক না দানা বাঁধে এই সমাবর্তন নিয়ে। প্রসঙ্গত, কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য ডক্টর সাধন চক্রবর্তীকে বরখাস্ত করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই জায়গায় আনা হয়, দেবাশিস মুখোপাধ্যায়কে। রবীন্দ্রভারতীর ইংরেজি বিভাগের প্রধান ছিলেন তিনি। নতুন উপাচার্য আসার পর থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ এবং তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়। এই আবহে আবার সমাবর্তন-বিতর্ক।