DYFI Brigade: মেয়ের কথা শুনতে সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে রওনা দিলেন মীনাক্ষীর মা-বাবা

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Jan 07, 2024 | 9:04 AM

DYFI Brigade: বিজয় দশমীর পরের দিনই ইনসাফ যাত্রার প্রস্তুতির জন্য কুলটি থেকে কলকাতায় চলে আসেন মীনাক্ষী। তারপর থেকে আর দেখা হয়নি। বিশেষ কথাও হয়নি। শুধুমাত্র ইনসাফ যাত্রা যেদিন আসানসোল কুলটি হয়ে পুরুলিয়ার পথে যায় সেদিনই মা-বাবার সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য দেখা হয়েছিল তাঁর।

DYFI Brigade: মেয়ের কথা শুনতে সাধারণ কর্মীদের সঙ্গে ট্রেনে চড়ে রওনা দিলেন মীনাক্ষীর মা-বাবা
আসছেন মীনাক্ষীর বাবা-মা

Follow Us

আসানসোল: কুলটির চলবলপুরেই মানুষ ছোট থেকে। সেই মেয়েই রবিবার বামেদের ব্রিগেডের প্রধান মুখ। ছোট থেকেই এলাকায় পলি নামেই পরিচিত ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। গ্রামের মেয়ের কথা শুনতে রবিবার সকাল সকাল ট্রেন ধরে ফেলেছেন এলাকার লোকজন। তাঁদের সঙ্গেই আসছেন মীনাক্ষীর বাবা জেলা কমিটির সদস্য মনোজ মুখোপাধ্যায় ওরফে সাগর মুখোপাধ্যায়, মা পারুল মুখোপাধ্যায়। তাঁর মাও রয়েছেন পার্টির কাজে। এদিন সীতারামপুর স্টেশন থেকে কোলফিল্ড ট্রেনে ওঠেন তাঁরা।

বিজয় দশমীর পরের দিনই ইনসাফ যাত্রার প্রস্তুতির জন্য কুলটি থেকে কলকাতায় চলে আসেন মীনাক্ষী। তারপর থেকে আর দেখা হয়নি। বিশেষ কথাও হয়নি। শুধুমাত্র ইনসাফ যাত্রা যেদিন আসানসোল কুলটি হয়ে পুরুলিয়ার পথে যায় সেদিনই মা-বাবার সঙ্গে কিছু সময়ের জন্য দেখা হয়েছিল তাঁর। এবার মেয়ের বক্তব্য শুনতে মা-বাবারা যাচ্ছেন ব্রিগেডে। শত ব্যস্ততা কাটিয়ে দেখা কী করতে পারবেন মীনাক্ষী? সেই প্রশ্নটা ঘোরাফেরা করছে গ্রামের লোকেদের মনেও। 

মা-বাবা বলছেন মেয়ে তো খুবই ব্যস্ত। এখন ভাল করে কথা বলার সুযোগ কম। সম্ভবত মেয়ের সঙ্গে দেখা হবে ১০ বা ১২ তারিখের পর। গত ৫০ দিনে ইনসাফ যাত্রায় অন্তত ২০০ বার বিভিন্ন সভায় বক্তব্য রেখেছেন মীনাক্ষী। এদিনের ব্রিগেডেও মূল বক্তা তিনি। তিনিই ক্যাপ্টেন। সংগঠনের কর্মীরাও তাঁকে ডাকছেন এই ডাকেই। তবে তাঁদের মেয়ে যে ক্যাপ্টেন তা মানতে চাইছেন না মীনাক্ষীর মা-বাবা। তাঁরা মনে করছেন আজকে যৌবনে ডাকে ব্রিগেডে মীনাক্ষী শুধু গ্রুপ অব লিডার বা কর্মী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ক্যাপ্টেন শব্দে আপত্তি রয়েছে মীনাক্ষীর নিজেরও। তাঁর কথায়, দলের নীতি, আদর্শই শেষ কথা। 

অন্যদিকে এদিন দেখা গেল কুলটির বিশেষ করে চলবলপুর গ্রাম ওয়ার্ড নম্বর ১৬ র ছাত্র যুব প্রবীনদের গলায় ঝুলছে বিশেষ প্ল্যাকার্ড। গ্রাম থেকে যারা শহরে যাচ্ছেন তারা যেন একে অপরকে খুঁজে পান। হারিয়ে না যান। একে অপরকে চিনতে পারেন ভিড়ের মধ্যে সেই জন্যই বিশেষ এই ব্যবস্থা। আর এই ব্যবস্থা নিজের হাতে এঁকে-লিখে তৈরি করেছেন মীনাক্ষীর বাবা। 

Next Article