আসানসোল: নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ। ফাঁকা বাড়িতে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠল এলাকারই এক যুবক ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। গ্রেফতারও হয়েছে এক অভিযুক্ত।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি থানা এলাকায়। সেখানেই বাস করেন বছর ১৪ ওই নাবালিকা। পরিবার সূত্রে খবর, চলতি মাসের দশ তারিখ বিকেল চারটে নাগাদ সে বের হয় বাজার যাওয়ার জন্য। পথে পাড়ার এক দাদার সঙ্গে দেখা হয় তার। নির্যাতিতার দাবি, ওই যুবক মেয়েটিকে ভুল বুঝিয়ে ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই আগে থেকে উপস্থিত ছিল আরও চার অভিযুক্ত। তারপর সারারাত ধরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়।
এ দিকে, বাজার করতে বেরিয়ে সারা রাত মেয়ে বাড়িতে না ফেরায় কার্যত চিন্তায় পড়ে যান পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের পক্ষ থেকে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে নিখোঁজ ডাইরি করা হয়। এরপর শনিবার সকালে বাড়ি ফিরে আসে ওই নাবালিকা। গোটা ঘটনা জানায় অভিভাবকদের। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়ে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
কিন্ত এরপর আর অন্য অভিযুক্ত কাউকে গ্রেফতার করতে না পারায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে এলাকায়। এরপর আসরে নামেন এলাকার তৃণমূল নেতা। বুধবার রাতে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর রোহিত নুনিয়ার নেতৃত্বে পরিবারের সদস্য সহ বেশ কিছু মানুষ নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে এসে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানায়। পুলিশ পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে পকসো আইনে গণধর্ষণের ধারা দিয়ে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। নির্যাতিতা নাবালিকা বলেছেন, “মা চাট কিনতে পাঠিয়েছিল। এরপর পাড়ার ছেলেটা বলল বাড়ি ছেড়ে দেবে। কিছুটা এগোনোর পর আমার মুখ চেপে ধরে অন্য কোথাও নিয়ে যায়। তারপর সারারাত আমায় ধর্ষণ করা হয়।”