Raniganj: অন্ডালে বসেই রানিগঞ্জে ডাকাতির রেইকি! এবার পুলিশের জালে লোকাল সোর্স

Raniganj: পুলিশ সূত্রে খবর, এই শশীকান্ত হল সোনুর ছোটবেলার বন্ধু এবং একই গ্রামের বাসিন্দা। বিহারের সিওয়ান জেলার রামগড়, মালিটোলায় দেশের বাড়ি শশীকান্তের। পরে শশীকান্ত কাজের সূত্রে অন্ডালে চলে এসেছিল। রানিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় সোনুদের লোকাল সোর্স হিসেবে কাজ করেছিল ওই শশীকান্ত।

Raniganj: অন্ডালে বসেই রানিগঞ্জে ডাকাতির রেইকি! এবার পুলিশের জালে লোকাল সোর্স
রানিগঞ্জে সোনার দোকানের বাইরের সিসিটিভি ফুটেজImage Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2024 | 7:35 PM

আসানসোল: রানিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় এবার পুলিশের জালে ধরা পড়ল আরও একজন। অন্ডালে বসেই তৈরি হয়েছিল রানিগঞ্জে ডাকাতির মাস্টার প্ল্যান। শশীকান্ত মালী নামে এক যুবকের বাড়িতে বসে ডাকাতির ছক কষা হয়েছিল। সেই শশীকান্তকে এবার গ্রেফতার করল পুলিশ। রানিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনার মাস্টারমাইন্ড সোনু সিং ডাকাতির ২৬ দিন আগেই পৌঁছে গিয়েছিল অন্ডালে। সেখানে গিয়েই শশীকান্ত মালীর বাড়িতে উঠেছিল সোনু। পুলিশ সূত্রে খবর, এই শশীকান্ত হল সোনুর ছোটবেলার বন্ধু এবং একই গ্রামের বাসিন্দা। বিহারের সিওয়ান জেলার রামগড়, মালিটোলায় দেশের বাড়ি শশীকান্তের। পরে শশীকান্ত কাজের সূত্রে অন্ডালে চলে এসেছিল। রানিগঞ্জে ডাকাতির ঘটনায় সোনুদের লোকাল সোর্স হিসেবে কাজ করেছিল ওই শশীকান্ত।

পুলিশ সূত্রে খবর, শশীকান্তকে নিয়েই রানিগঞ্জের ওই সোনার দোকানে ডাকাতির রেইকি করেছিল সোনু। ডাকাতি করে কোন পথ দিয়ে পালাবে তা নিশ্চিত করা হয়েছিল আগেই। ডাকাতির কয়েকদিন আগে সোনু সিং বাকি সঙ্গীদের নিয়ে শশীকান্তের বাড়ি ছেড়ে অন্ডালের এক হোটেলে আশ্রয় নিয়েছিল। তারপরেই চলে ডাকাতির অপারেশন। জানা যাচ্ছে, বিহারের গ্রাম থেকে অন্ডালে চলে এলেও সোনুর সঙ্গে বন্ধুত্ব রয়ে গিয়েছিল শশীকান্তের। অন্ডালে ফুল বিক্রি করত সে। এবার ডাকাতির আগে পুরনো বন্ধুকেই সাহায্যে এগিয়ে আসে শশীকান্ত।

জানা যাচ্ছে, দীর্ঘদিন ধরে অন্ডালে থাকার ফলে ডাকাত দলের সদস্যদেরকে নিজের আত্মীয় পরিচয় দিলেও কারও মনে কোনও সন্দেহ হয়নি। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেল শশীকান্ত মালী। এই নিয়ে রানিগঞ্জের ডাকাতির ঘটনায় তৃতীয় গ্রেফতারি পুলিশের। ধৃত শশীকান্ত মালীকে রবিবার আসানসোল আদালতে পেশ করা ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। বিচারক অভিযুক্তের ১২ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।