Asansol: গুদামের শার্টারে লেখা ছিল জামা-কাপড়ের দোকান, পুলিশ তল্লাশি চালাতেই পেল লক্ষাধিক টাকার বাজি

Asansol: একটি ভাড়া নেওয়া বাড়ির চারটি গুদামে এই বাজি মজুত করে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে পুলিশ একটি গুদামের পুরো ও একটি গুদামের অর্ধেক বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে।

Asansol: গুদামের শার্টারে লেখা ছিল জামা-কাপড়ের দোকান, পুলিশ তল্লাশি চালাতেই পেল লক্ষাধিক টাকার বাজি
আসানসোলে উদ্ধার বাজিImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 30, 2023 | 11:59 AM

আসানসোল: বারাসতের দত্তপুকুরের নীলগঞ্জের বেআইনি বাজি কারখানার বিস্ফোরণের পরে নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। এই ঘটনার পর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বাজি কারাখানার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তল্লাশি চলছে বাজার এলাকাতেও। এরই মধ্যে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণে এবার বাজি উদ্ধার হল পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের হিরাপুর থানার অন্তর্গত বার্ণপুরের রামবাঁধ এলাকায়।

একটি ভাড়া নেওয়া বাড়ির চারটি গুদামে এই বাজি মজুত করে রাখা হয়েছিল। তার মধ্যে পুলিশ একটি গুদামের পুরো ও একটি গুদামের অর্ধেক বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে। বাকি গুদাম সিল করে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় হিরাপুর থানার পুলিশের পাশাপাশি বোম স্কোয়্যাড ও পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ড বা দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ একযোগে তদন্ত শুরু করেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জনৈক কৃষ্ণা আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি বার্ণপুরের রামবাঁধ এলাকায় একটি বাড়ির চারটি দোকানকে গুদাম হিসাবে ভাড়া নিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ফেরার রয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ির মালিকেরও কোনও খোঁজ পায়নি পুলিশ। জানা গিয়েছে, গুদামের শাটারের উপরে যে বোর্ড লাগানো হয়েছে তাতে রেনকোট, ছাতা, গিফ্ট, বাচ্চাদের খেলনা, শাড়ি, মহিলা ও পুরুষদের পোশাক সহ নানা জিনিসের নাম লেখা আছে। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দাদের কোনও রকম সন্দেহ হয়নি। পুলিশের সন্দেহ এই বোর্ডের আড়ালে গুদাম মালিক বাইরে থেকে এই বিপুল পরিমাণে বাজি মজুত করে রাখতেন। উৎসবের সময় বা বাজারে চাহিদা মতো তা বাজারে বাজারে সরবরাহ করতেন।  পুলিশের তরফে এই বিপুল পরিমাণ বাজির বর্তমান বাজার মূল্য কত তা বলা হয়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে ৫০ লক্ষ টাকা দাঁড়াতে পারে।

জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে হিরাপুর থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই এলাকায় একটি বাড়ির গুদামে হানা দেয়। সেই হানা মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চলে। উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণে মজুত রাখা বাজি। পুলিশের দাবি, এই এলাকায় ঐ বাড়িতে অবৈধভাবে বাজিপটকা মজুত করে রাখা হয়েছিল। অভিযান শেষে ১২ টি ট্রাক্টর করে বাজি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ নিয়ে যায়। বাকি গুদাম সিল করে রেখে দেওয়া হয়।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশ এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করতে পারেনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কৃষ্ণা আগরওয়ালের গুদামে এই প্রসঙ্গে আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশের এসিপি ( হিরাপুর) ঈপ্সিতা দত্ত বলেন, তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মালিকের খোঁজ চলছে।