Asansol: বাজছে সাইরেন, উড়ে আসছে বড় বড় পাথর, কাঁপছে গোটা এলাকা, আসানসোলে কিসের সংকেত?

Chandra Shekhar Chatterjee | Edited By: জয়দীপ দাস

Mar 21, 2024 | 7:32 PM

Asansol: খবর যায় পুলিশে। খবর পেতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। আসে পুলিশ। তবে তারপরেও গ্রামবাসীদের ক্ষোভে লাগাম দেওয়া যায়নি। বিক্ষুব্ধ জনতার একটাই দাবি, খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Asansol: বাজছে সাইরেন, উড়ে আসছে বড় বড় পাথর, কাঁপছে গোটা এলাকা, আসানসোলে কিসের সংকেত?
তীব্র চাঞ্চল্য গোটা এলাকায়
Image Credit source: TV-9 Bangla

Follow Us

আসানসোল: কেউ ঘুমাচ্ছিলেন, কেউ বাড়িতে সবে বিকালের চা টা নিয়ে বসেছেন। এরইমধ্যে হঠাৎ বেজে উঠল সাইরেন। কেঁপে উঠল গোটা এলাকা। আকাশ থেকে উড়ে এল বড় বড় পাথরের চাঙড়। কী হচ্ছে বুঝে ওঠার আগেই ভাঙল কারও ছাদের কার্নিশ, কারও ছাদ একেবারে ফুটো হওয়ার পথে, ভাঙল গাড়ির কাচ। ততক্ষণে হইচই পড়ে গিয়েছে গোটা এলাকায়। ভয়ে বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে পড়েছেন এলাকার লোকজন। যেন একেবারে যুদ্ধ পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই ছবি দেখা গেল রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খোলামুখ খনি সংলগ্ন নারায়ণকুড়ি গ্রামে। কিন্তু, আচমকা কী হল সেখানে? 

সূত্রের খবর, ইসিএল কুনুস্টোরিয়া এলাকার নারায়ণকুড়ি খোলা মুখ খনিতে ডিনামাইট বিস্ফোরণের জেরে বড় বড় পাথর উড়ে এসে পড়েছে গ্রামে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি। ভয়ের বাতাবরণ গোটা এলাকায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এলাকার একটি ক্লাবও। ক্ষুদ্ধ গ্রামবাসীরা খনিতে থাকা ডাম্পার-সহ বেশ কয়েকটি চারচাকায় ব্যাপাক ভাঙচুরও চালায় বলে অভিযোগ। ভয়ে খনি ছেড়ে পালিয়ে যান আধিকারিক ও কর্মীরা।

খবর যায় পুলিশে। খবর পেতেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে আসেন ইসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। আসে পুলিশ। তবে তারপরেও গ্রামবাসীদের ক্ষোভে লাগাম দেওয়া যায়নি। বিক্ষুব্ধ জনতার একটাই দাবি, খনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই চালানো যাবে না ওই খোলামুখ খনি। এলাকার বাসিন্দা, শরমা বাউরি সুদেষ্ণা বাউরি, পিন্টু বাউরিদের দাবি, বিস্ফোরণের ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার বিস্ফোরণ ঘটেছে। অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রতিবাদে আগেও তাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ইসিএলের তরফে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। 

গ্রামবাসীরা বলছেন, যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তাতে যে কোনও মুহূর্তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত। যেভাবে ভারী ভারী পাথরের চাঙড় উড়ে এসেছে তা কারও মাথায় পড়লে মৃত্যু ঠেকানো যেত না। গ্রামবাসীদের দাবি, ইসিএল কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যতে বিস্ফোরণ না করার লিখিত প্রতিশ্রুতি দিলে তবেই তারা কয়লা খনি ফের খুলতে দেবেন। নাহলে আর কাজ চালাতে তাঁরা দেবেন না। এদিকে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ, টহল দিচ্ছে সিআইএসএফ। 

Next Article