HS Exam: ইংরেজি পরীক্ষার টেনশনে বড় ‘ভুল’ উচ্চ-মাধ্যমিক পড়ুয়ার, শেষে ‘রক্ষাকর্তা’ হয়ে এগিয়ে এলেন কনস্টেবল মৃণ্ময়
HS examination: জানা গিয়েছে, ভোকেশনাল বিভাগের ছাত্রী মাফিজা খাতুন-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল কুমারপুর হটেশ্বর হাই স্কুলে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সে পাঁশকুড়া থেকে বাস ধরে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল।

পাঁশকুড়া: উচ্চ-মাধ্যমিকের দ্বিতীয় দিনের পরীক্ষা ছিল মঙ্গলবার। রুটিন অনুযায়ী আজ ছিল ইংরেজি পরীক্ষা। একাংশ পরীক্ষার্থীদের মনে কাজ করছিল টেনশন। কিন্তু সেই টেনশনই কী না বড়সড় বিভ্রান্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে উচ্চ-মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর ভাবতেও পারেননি। করে ফেলল বিশাল বড় ভুল। তবে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিকের ভূমিকায় পরীক্ষা দিতে পারল সে। ঘটনাটি ঘটেছে পাঁশকুড়া থানা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, ভোকেশনাল বিভাগের ছাত্রী মাফিজা খাতুন-এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছিল কুমারপুর হটেশ্বর হাই স্কুলে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও সে পাঁশকুড়া থেকে বাস ধরে পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। কিন্তু গন্তব্যস্থল রাতুলিয়াতে বাস থেকে নামার বদলে সে ভুল করে সোজা ডেবরা পৌঁছে যায়।
দূরত্বের বিষয়টি বুঝতে পেরেই ছাত্রী সিদ্ধান্ত নেয় ডেবরা থেকে বালিচক পৌঁছে ট্রেনে চেপে হাউর স্টেশন হয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর। কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে বালিচক স্টেশনে গিয়ে দেখে, ট্রেন আসতে দেরি হবে। এরপর সে ডেবরা বাজারে ফিরে এসে সিভিক পুলিশ ও ট্রাফিক অফিসারদের গোটা ঘটনাটি জানায়।
সেই সময় ডেবরা ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল মৃন্ময় হান্ডা ডিউটি করছিলেন। তিনি তড়িঘড়ি পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেন। নির্ধারিত সময়ের মাত্র ১০ মিনিট পর ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে যায় এবং পরীক্ষায় বসতে পারে।
এই ঘটনায় কনস্টেবল মৃন্ময় হান্ডার মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশের এই তৎপরতা ও সাহায্য ছাত্রীর ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে বলে মত অনেকের। এমন বিপদের সময় পুলিশের সাহায্য যেন আরও বহু শিক্ষার্থীর জন্য ভরসার আশ্বাস হয়ে ওঠে,এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।





